জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করলো ক্রিকেট সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। ক্রিকেট বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও নানা অনিয়মের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। ক্রিকেট অভিভাবক সংস্থা আইসিসি চেয়ারম্যান শংকর মনোহার বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ক্রীড়াঙ্গনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বাইরে রাখবো। জিম্বাবুয়ে যেটা করেছে সেটা আইসিসির গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা এটা চলতে দিতে পারি না।’
গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সভায় জিম্বাবুয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সে সভায় জিম্বাবুয়ের সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আইসিসি। শুধু সদস্যপদই না আইসিসি থেকে কোনো আর্থিক সুবিধাও পাবে না তারা। এবং আইসিসির কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে না জিম্বাবুয়ে।
আগামী বছর ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে উন্নতির লক্ষ্যে প্রতিবছর ৯ মিলিয়ন ডলার দিয়ে আসছিলো আইসিসি। এবং তারা যেনো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ক্রিকেট বোর্ড গঠন করে তার পরামর্শও দেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু তাতে ব্যর্থ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড।
গত মাসে জিম্বাবুয়ে সরকার দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিলুপ্ত ঘোষণা করে একটি কমিটি গঠন করে। এরই আইসিসি এই সিদ্ধান্ত নেয়। তাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আইসিসি জিম্বাবুয়ে সরকার ও বোর্ডের প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনেছে। এবং আইসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী অক্টোবরের বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত পুর্ণবিবেচনা করা হবে।