× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজশাহীতে শোকেসের কাচে শিশুর গলা কাটায় গুজব!

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার

রাজশাহীর বাগমারায় শোকেসের কাচে মিজান (৫) নামের এক শিশুর গলা কাটার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে গুজবে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ার করা হয়। আহত শিশুর পিতার নাম আতিকুর রহমান মিঠুন। শিশুটির মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। তাদের বাড়ি উপজেলার সূর্যপাড়া গ্রামে। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে শোকেসের কাচ খসে পড়ে মিজানুর রহমান মিজান (৫) নামের এক শিশুর গলার পাশে কেটে যায়। রাতেই শিশুটি প্রথমে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শিশুটিকে হাসপাতালের ৩৩নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ওসি বলেন, রাতেই তিনি নিজে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই ঘরে শোকেসের খসে পড়া কাচের টুকরো পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে কোনো কারণে শোকেসের কাচ খসে পড়ে শিশুটির গায়ের ওপর পড়ে। মায়ের সঙ্গে শিশুটি মেঝেতে শুয়ে ছিল। কিন্তু এ ঘটনাটি ছেলেধরা শিশুর গলা কাটার চেষ্টা চালিয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুটির দাদি রেখা বেগম জানান, তার ছেলে মিঠু খাটের উপর শুয়ে ছিল। আর ছেলের বউ নাতিকে নিয়ে মেঝেতে ছিল। গরমের কারণে দরজা খোলা ছিল। রাতে তাদের চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে শোকেসের কাচ ভাঙা পায়। তবে পুত্রবধূ ফিরোজা বেগমের বরাত দিয়ে রেখা বেগম আরো জানান, রাতে একজন লোক ঘরে প্রবেশ করে তার নাতির গলা কাটার চেষ্টা করে। এ সময় তার পুত্রবধূর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে শোকেসের কাচ ভেঙে পড়ে। তবে শিশুটির গলা কীভাবে কেটে গেছে তা বলতে পারেন নি তিনি। প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক শাহিনুর রহমান বলেন, হৈচৈ শুনে রাতেই ওই বাড়িতে যায়। মিঠুন ও তার স্ত্রী ফিরোজার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তাদের কথায় মনে হয়েছে একজন লোক তাদের ঘরে ঢুকেছিল এবং তার সঙ্গে মিঠুনের স্ত্রীর ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় ধাক্কা খেয়ে শোকেসের কাচ খসে পড়ে। এতে শিশুটির গলা কেটে যায়। বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম বলেন, শিশু মিজানুর রহমানের গলা কেটে যাওয়ার বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে। কাচ পড়ে তার গলা সামান্য কেটে যায়। এটি শুধু গুজব ছড়ানো ছাড়া আর কিছুই না। যারা এ ধরনের গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর