× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাঁথিয়ায় ২০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

বাংলারজমিন

আলিউল ইসলাম অলি, সাঁথিয়া (পাবনা) থেকে
২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার

পাবনার সাঁথিয়ায় ৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। প্রতিবছরই এই সাঁকোটি ভেঙে যায় আর গ্রামবাসী মিলে প্রতিবারই চাঁদা তুলে পুনর্নির্মাণ করে। স্বাধীনতার পর থেকে এভাবেই চলছে তাদের দিনের পর দিন। দেখার যেন কেউ নেই।
জানা যায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমড়া ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বড়াল নদীর শাখা বলেশ্বর নদীটি চিনিনাড়ী- বিলকলমী’র উপর দিয়ে বয়ে গেছে। প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে ওই নদীর উপর গ্রামবাসী চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে অত্র এলাকার নলভাঙ্গা, চিনিনাড়ী সেলন্দা, চরাচেথুলিয়া বিলকলমী,খামার সানিলাসহ অন্তত ৬টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পারাপার হয়। এমনকি আশপাশের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায় ১শ’ ফুট দীর্ঘ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চিনিনাড়ী দাখিল মাদ্রাসা, বিলকলমী প্রাথমিক বিদ্যালয়,পার্শ্ববর্তী বেড়া আল হেরা স্কুল এন্ড কলেজ, বেড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ, সাঁথিয়া সরকারি কলেজ, বাঘাবাড়ী, শাহজাদপুর স্কুল এন্ড কলেজে যাতায়াত করে। ফলে প্রায়ই ঘটে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা।
কৃষকদের কৃষিপণ্য পারাপারের জন্য একমাত্র ভরসা ওই একটি মাত্র বাঁশের সাঁকো। নইলে অনেক দূর ঘুরে মাটির রাস্তা দিয়ে তাদের যেতে হয়। আশপাশের বিভিন্ন হাট বাজারে যেতে কৃষিপণ্য ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। এলাকাবাসীর বহুদিনের দাবি এখানে একটি ব্রিজের। তারা জানায় ওখানে একটি ব্রিজ হলে শুধু এলাকারই উন্নয়ন নয় সাঁথিয়া, শাহজাদপুর ও বেড়া উপজেলার এবং পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ সম্ভব হবে।
সরজমিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চিনিনাড়ী ও বিলকলমী গ্রামের গোলজার প্রাং’র বাড়ির ওপারে আবদুল হাই এর বাড়ির সামনে পাকা সড়ক পর্যন্ত গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি নতুন করে মেরামত করছেন। সেখানে তাদেরকে তদারকি করছেন চিনিনাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও চিনিনাড়ী দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা প্রতি বছরই নিজেরাই গ্রামবাসী মিলে চাঁদা তুলে ও স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এ সাঁকোটি তৈরি করি। তবে সরকারি সহায়তায় একটি ব্রিজ হলে ৫-৬ টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। অপরদিকে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যেমে সাঁকো তৈরি করতে আসা চিনিনাড়ী গ্রামের সন্তেষ জানান, স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিবছরই আমরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এখানে সাঁকো তৈরি করি। আমাদের দেখার কেউ নেই। এ বিষয়ে নাগডেমড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নাগডেমড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জানান, ওখানে একটি ব্রিজ হওয়া দরকার। এতে করে ৪-৫টি গ্রামের মানুষের গ্রাম ও শহরের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগের উন্নয়ন হবে। আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কথা বলে অতিদ্রুত একটি ব্রিজের ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। সাঁথিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী শহিদুল্লাহ জানান, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরেই ওই প্রত্যন্ত এলাকাকে সড়ক,ব্রিজের উন্নয়ন করে শহরে পরিণত করবো যা দৃশ্যমান হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল হালিম বলেন, আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছি সরজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার।



অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর