লর্ডসে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটভক্তদের হৃদয় ভেঙে দেন বেন স্টোকস। কিন্তু স্টোকসের প্রতি অসাধারণ মমতা দেখালো কিউইরা। বেন স্টোকসের শেকড় নিউজিল্যান্ড বলে ইংলিশ অলরাউন্ডারকে ‘নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার’ নমিনেশনের জন্য বাছাই করেছে তারা। অ্যাওয়ার্ডের প্রধান বিচারক ক্যামেরন বেনেট জানিয়েছেন এমনটাই।
বেন স্টোকসের বাবা-মা দুজনই নিউজিল্যান্ডের। ১২ বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। সেখানেই ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে ওঠেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। স্টোকসের অপরাজিত ৮৪ রানের বদৌলতেই এবার বিশ্বকাপটা পেলো ইংল্যান্ড।
বেনেট বলেন, ‘সে হয়তো ব্ল্যাকক্যাপসদের হয়ে খেলে না। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চে জন্ম তার। আর তার বাবা-মা সেখানেই বসবাস করছেন। আর স্টোকসের রক্তে মিশে আছে মাউরি আদিবাসিদের রক্ত। কাজেই কিছু কিউইয়ান মনে করেন, স্টোকস তাদের দেশের সম্পদ।’
‘নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত দেয়া হচ্ছে। সাহিত্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা, খেলাধুলা ইত্যাদি বিষয়ে কিউইদের অবদানের ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোষণা করা হয় এই পুরষ্কার। দেশের সেরা নাগরিক বাছাইয়ের দায়িত্বটা দেয়া হয় সাধারণ জনগণের ওপর। তাদের ভোটাভুটির ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি ক্যাটাগারিতে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। সেগুলো হল , নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার, ইয়াং নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার, সিনিয়র নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার, ইনোভেটর অব দ্য ইয়ার, কমিউনিটি অব দ্য ইয়ার ও লোকাল হিরো। এবার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নমিনেশন চলবে। ডিসেম্বরে ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করবে আয়োজকরা।
এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটার এই অ্যাওয়ার্ড জেতেননি। ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কেবল নিউজিল্যান্ড রাগবি দলের অধিনায়ক রিচি ম্যাকাউ পুরষ্কারটি জিতেছেন। তবে এবার নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার জেতার ভালো সম্ভাবনা আছে। তার অধীনে কিউইরা বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়। উইলিয়ামসনও পান টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব। উইলিয়ামসনকে শেষতক স্টোকসের কাছেই পুরস্কারটা খোয়াতে হয় কিনা, কে জানে!