আফগানিস্তান ‘এ’ দলের কাছে চার দিনের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হারের পর ওয়ানডে সিরিজের শুরুটাও বাজে হলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১০ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ ‘এ’ দল যখন ব্যাট করছিলো, মনে হচ্ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য এটা খুব কঠিন উইকেট। রান তুলতে রীতিমতো ধুঁকছিলেন ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু পরে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তান ‘এ’ দল ধারণা পাল্টে দেয়। ৩৭ বল ও দশ উইকেট হাতে রেখেই ২০২ রানের লক্ষ্য টপকে যায় তারা।
চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। শুরুটা ভালোই ছিল।
৮.২ ওভারে ৫২ রান তুলেন ইমরুল কায়েস-এনামুল হক বিজয়। ইমরুলকে কায়েস আহমেদের ক্যাচ বানিয়ে এ জুটি ভাঙেন ফজল নিয়াজাই। এরপরই মড়ক লাগে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। ১১ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক মিঠুন (৩) ও বিজয় (১৯) ফেরেন। দু’জনকেই সরাসরি বোল্ড করেন আফগান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগানের ছোটভাই পেসার করিম জানাত। সুবিধা করতে পারেননি সাব্বির রহমানও (১৫)। দলীয় ৮২ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচ খেলে ৪৭ রান করেছিলেন মিঠুন, সাব্বির দুই ম্যাচের একটিতে শূন্য ও আরেকটিতে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। বিদেশের মাটিতে ব্যর্থ এই দুই তারকা ঘরেও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। এরপর ফজলে রাব্বী (৯) ও মেহেদী হাসান (৪) ফিরলে ১০৬/৬ দাঁড়ায় বাংলাদেশের স্কোর। সেখান থেকে ৮ উইকেটে ২০১ রানে থামে স্বাগতিকরা। পুরোটাই আফিফ হোসেন-ফরহাদ রেজার অবদান। সপ্তম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ৬৫ বলে ৩০ রান করে আউট হন পেস অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা। আফিফ ৭১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে করেন ৫৯ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে করিম জানাত ও নাভীন উল হক ২টি আর ফজল নিয়াজাই, কায়েস আহমেদ ও শরফুদ্দিন আশরাফ একটি করে উইকেট লাভ করেন। ২০১ রান তাড়া করতে নেমে ধীরে সুস্থে খেলতে থাকেন দুই আফগান ওপেনার রহমতুল্লাহ গারবাজ-ইব্রাহীম জাদরান। ১৩৮ বলে ১০৫ রান করেন রহতুল্লাহ। ১১ চারের সঙ্গে হাঁকান ৩টি বিশাল ছক্কা। ইব্রাহীমের ব্যাট থেকে আসে ৮৬ রান। যাতে ছিল ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছাক্কার মার। আটজন ভিন্ন ভিন্ন বোলার ব্যবহার করেও আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল।