জিতলেই ৩ ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত বসুন্ধরা কিংসের। হারলেও সমস্যা ছিল না, যদি সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে পয়েন্ট খোয়াতো আবাহনী। সিলেটেই শিরোপা উৎসব করতে পারতো নবাগত ক্লাবটি। কিন্তু গতকাল এই দুইটার একটাও না হওয়াতে অপেক্ষা বাড়লো দলটির। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলের কাছে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। আর আগের ম্যাচে মোহামেডানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া আবাহনী ৪-১ গোলে হারিয়েছে সাইফ স্পোর্টিংকে।
শুরুর পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর বসুন্ধরা কিংস নোয়াখালীতে গিয়ে পয়েন্ট খোয়ায় টিম বিজেএমসির সঙ্গে ১-১ ড্রয়ে। ১৯ ফেরু্রয়ারি সেই ড্রয়ের পর থেকেই দীপ্ত গতিতে এগিয়ে যায় দলটি।
জিতেছে টানা ১৪ ম্যাচ। ২০ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট সংগ্রহ তাদের। কালকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত এক ম্যাচ বেশি খেলা আবাহনীর সংগ্রহ ছিল ৫১। আগের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সর্বনাশটা করেছে তাদের চিরশত্রু মোহামেডান। অবনমন অঞ্চলে ধুঁকতে থাকা মোহামেডানের কাছে গত মঙ্গলবার আবাহনী হেরে বসে ৪-০ গোলে। শিরোপা লড়াইয়ে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর সর্বনাশে বসুন্ধরার শিবিরে বইতে শুরু করে স্বস্তির সুবাতাস। কাল শিরোপার হাতছানি নিয়েই খেলতে নেমেছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু অতিআত্মবিশ্বাসে ভুগতে থাকা দলটিকে কাল চেনাই যাচ্ছিলো না। শেখ রাসেলের গোছালো ফুটবলে বার বার মার খাচ্ছিলো তারা। শুরুতেই একাধিক গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। কিন্তু গোলের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ৪০ মিনিট। শেষ পর্যন্ত ওই গোল ধরে রেখেই বসুন্ধরাকে প্রথম হারের স্বাদ দেয় শেখ রাসেল। এদিন হেরেও শিরোপা নিশ্চিত হতে পারতো বসুন্ধরার । বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবাহনী যদি পয়েন্ট খোয়াতো তবে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই ইতিহাস গড়তো নবাগত ক্লাবটি। এ হার বসুন্ধরার শিরোপার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ালেও, অপেক্ষা বাড়িয়েছে। বসুন্ধরার হার আর আবাহনীর জয়ের সমীকরণও একটু জটিল হলো। ২২ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট এখন ৫৪, ২১ ম্যাচে বসুন্ধরার ৫৮। আবাহনীর শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামাল। আবাহনী যদি শেষ দুই ম্যাচে জয় পায়, সেক্ষেত্রে লীগ শেষে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৬০-এ। বসুন্ধরা যদি তাদের শেষ তিন ম্যাচ হারে তবে তাদেরও সম্ভাবনা জাগবে। এদিকে শিরোপা নিশ্চিত করতে তিন ম্যাচে অন্তত একটি জয় চাই বসুন্ধরার। আগামী ২৪শে জুলাই হোম ভেন্যু নিলফামারীতে মোহামেডানের মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংস। ওই ম্যাচ জিতলে দুই ম্যাচ হাতের রেখেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে দলটির। হারলে আবারো অপেক্ষা বাড়বে। আসরে ২১ ম্যাচে শেখ রাসেলের সংগ্রহ ৪৫ পয়েন্ট।