× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নতুন ভিডিও বার্তায় যা বললেন প্রিয়া সাহা

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুলাই ২১, ২০১৯, রবিবার, ৭:০৮ পূর্বাহ্ন

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ করে আলোচনায় আসা প্রিয়া সাহা এবার তার সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। কারও সঙ্গে কথোপকথনের প্রশ্নোত্তরধর্মী এ বার্তায় তিনি তার বক্তব্যের পক্ষেই কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগে দেয়া বক্তব্য থেকেই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ওই ভিডিও বার্তায় প্রিয়া সাহা দেশে ফিরে আসছেন উল্লেখ করে বলেন, দেশে থাকার জন্যই তিনি ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছেন। আধ ঘণ্টার বেশি সময়ের এই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধি হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাননি। বরং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ইমেইল করা হয়।  সেই ইমেইলে পেয়ে তিনি ১৫ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে যান। তিনি আরও জানান, তিনি অনেকবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। ২০০৪ সালের পর থেকে পিরোজপুরে তার গ্রামে অনেক পরিবার নিখোঁজ হয়ে যায়।
তিনি দাবি করেন, ওই গ্রামে ২০০৪ সালে ৪০টি সংখ্যালঘু পরিবার ছিল এখন আছে ১৩টি পরিবার।

ভিডিও বার্তায় অপর পাশ থেকে একজন প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া বলেন, আমি ভাল নেই। আপনারা দেশে আছেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে। আমার পরিবার ভীষণ সমস্যায় আছে। আমার বাসার তালা ভাঙতে চেষ্টা করা হয়েছে। বাসার সামনে মিছিল করা হয়েছে। হুমকি দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমার পরিবারের ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কথা বলেছি আমি, তারা আমার ছবি ছাপাতে পারতো। এর মাধ্যমে পরিবারের সবার জীবনকে বিপন্ন করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউজে আপনি কেন এমন কথা বলেছিলেন-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া বলেন, এই কথাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরও ওপর নির্বাচনোত্তর চরম নির্যাতন চলছিল ৯৪ দিন ধরে। আজকের প্রধানমন্ত্রী তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য সারা পৃথিবীতে ঘুরেছেন। সমস্ত জায়গা বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে, তার অনুসরণে আমি বলেছি। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে কোনো জায়গায় বলা যায়, এটা আমি তার কাছে শিখেছি।
প্রিয়া বলেন, বাংলাদেশের যে পরিসংখ্যান বই রয়েছে। ২০০১ সালের পরিসংখ্যান বইয়ের সংখ্যালঘু যে চাপ্টার রয়েছে সেখানে এ বিষয়গুলো লেখা রয়েছে। প্রতি বছর সরকার যে সেনসাস রিপোর্ট (আদমশুমারি) বের করে সেই রিপোর্ট অনুসারে দেশভাগের সময় জনসংখ্যা (সংখ্যালঘু) ছিল ২৯ দশমিক ৭ ভাগ। আর এখনকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা হচ্ছে ৯ দশমিক ৭ ভাগ। এখন দেশের মোট জনসংখ্যা ১৮০ মিলিয়নের মতো। তো সেক্ষেত্রে জনসংখ্যা একইভাবে বৃদ্ধি পায়নি। ফলে আমি ক্রমাগতভাবে হারিয়ে গেছে বলে যে সংখ্যা বলেছি সেটা মিলে যায়।

তিনি বলেন, “আমি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে চাইনি। আমার নিজের গ্রামের কথা বলি। সেখানে ২০০৪ সালে ৪০টি পরিবার ছিল। এখন ১৩টি পরিবার আছে। এই মানুষগুলো কোথায় গেল, কোথায় আছে সেটা রাষ্ট্রের দেখার কথা।

কেন ট্রাম্পের কাছে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌলবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেক্ষেত্রে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পৃথিবীর মধ্যে সফলতা দেখিয়েছে। আমি চেয়েছি বা যে জন্য বলেছি, বাংলাদেশের সাথে মার্কিন প্রশাসনও একসাথে কাজ করে যাতে কোনভাবেই মৌলবাদের উত্থান না ঘটে। তাই আমি বলেছি। সরকার যে কাজটি আমি সেই কাজটি শক্তিশালী করবার জন্য এই কথাগুলো বলেছি।

সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার যখন প্রকৃত সত্য জানতে পারবেন তখন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে না বরং আমার পাশে দাঁড়িয়ে আমাকে সাথে নিয়ে এই মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।
তিনি বলেন, মুসলমান হিন্দুদের শত্রু না, মুসলমান সম্প্রদায়ের ৯৯.৯৯ শতাংশ মানুষই অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে, একসাথে থাকে, কিন্তু কিছু দুষ্টু লোক আছে যারা এই ঘটনা ঘটায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর