× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গাড়ির চেয়ে হাঁটার গতি বেশি

এক্সক্লুসিভ

মোহাম্মদ ওমর ফারুক
২২ জুলাই ২০১৯, সোমবার

বেলা সাড়ে এগারোটা। প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ, র‌্যালি করছে বিভিন্ন সংগঠন। ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ। বিশ মিনিট পর কর্মসূচি শেষে রাস্তা খুলে দেয়া হয়। ততক্ষণে এর রেশ গিয়ে পড়ে অন্য রাস্তায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এছাড়া মেট্রোরেলের কাজ চলার কারণে রাস্তাও বেশ সরু। ফলে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা এবং পল্টন যাওয়ার রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে প্রতিদিন।
আবার গুলিস্তান বঙ্গভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কর্ণার  থেকে গাড়ির লাইন গিয়ে ঠেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত।  দৈনিক বাংলা মোড়  থেকে যানজট শুরু হয়ে ঠেকে শাহবাগ পর্যন্ত। রাজধানীতে সময় যত বাড়তে থাকে যানজটও তত বেড়ে যায়। অফিস সময়ের পর এ যানজট অসহনীয় রূপ নেয়।

দেখা গেছে গাড়ির গতির চেয়ে হাঁটার গতি বেশি। গতকাল রাজধানীর সায়েদাবাদ যাওয়ার সময় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মতিঝিল এলাকায় রাস্তার দু’পাশজুড়ে  দেখা যায় শত শত গাড়ি পার্কিং করা। বড় বড় ভবনেরও কোনো পার্কিং না থাকায় ওই ভবনের সামনের সড়কে গাড়ি রাখা হয়েছে। এই চিত্র  দেখা যায় কাকরাইল মোড় থেকে পল্টন থানা পর্যন্ত। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি মার্কেট থাকলেও ওইসব মার্কেটে পার্কিং ব্যবস্থা নেই। মার্কেটগুলোয় আসা ক্রেতারা বাধ্য হয়ে গাড়ি রাস্তায় রেখে মার্কেটে ঢুকছেন। এদিকে সচিবালয় এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের পূর্ব দিকের রাস্তাটি পুরো পার্কিংয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে এই এলাকার রাস্তাগুলোয় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে রাস্তা আটকে ব্যবসা করা হচ্ছে। ফুটপাথ ছাড়িয়ে রাস্তায় হকার বসেছে কোনো কোনো এলাকায়। এটিসিএল বাসযাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, ধানমন্ডি থেকে মতিঝিল যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছি সকাল এগারোটায়। এখন বাজে বারোটার কাছাকাছি। কিন্তু আসলাম মাত্র প্রেস ক্লাব। এভাবে দিনের পর দিন যানজটের কারণে কাহিল হয়ে যাচ্ছি। অফিস শেষ করে বাসায় যাওয়ার পর খুব ক্লান্ত লাগে। যানজট মহাসমস্যায় পরিণতি হয়েছে রাজধানীবাসীর জন্য। এদিকে পল্টনে মোড়ে ট্রাফিক সদস্য সাত্তার মিয়া জানান, যানজট তো এখন নিয়মিত ব্যাপার। আমরা যারা রাস্তায় থাকি তারা বিষয়টিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তবে আমার কাছে মনে হয়, মানুষ যদি সচেতন হয় যানজট অনেক অংশে কমে যাবে। মৎস্য ভবন মোড় এলাকায়ও তীব্র যানজট। তবে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, এটা সিগন্যালের কারণে হয়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি পোহানোর কথা না। মৎস্যভবন এলাকায় আনোয়ারা পারভেজ নামে একজন বাসযাত্রী বলেন, অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশ সিগন্যাল দিয়ে গল্প করে, সিগন্যাল ছাড়তে ভুলে যায়। যার কারণে মানুষ খুব বিরক্ত হয়। তাছাড়া ট্রাফিক পুলিশ এখন বেশি ব্যস্ত থাকে মোটরসাইকেল নিয়ে। কারণ ওখানে তো টাকা আছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন যানজট হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে যত্রতত্র পার্কিং, মোটরবাইক আর সচেতনতার অভাব। তারা মনে করছেন, বর্তমানে রাজধানীতে এক যন্ত্রণার নাম হয়ে উঠেছে মোটরবাইক। মোটরবাইক যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে যানজটের মাত্রা আরো বাড়বে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর