বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালের পর নতুন করে আলোচনার টেবিলে উঠে এসেছে ‘ওভারথ্রো’ ইস্যু। সেদিন লর্ডসের ফাইনালে একটি ‘ওভারথ্রো’র কারণে বদলে যায় পুরো ম্যাচের চালচিত্র। ক্রিকেট সংক্রান্ত আইনগুলোর প্রস্তাবনা ও সংশোধন আসে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) থেকেই। এমসিসি এবার ‘ওভারথ্রোা’র নিয়মের বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে। লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনাল সব নাটকীয়তাকে যেন হার মানিয়েছিল। মূল ম্যাচে টাই, সুপার ওভারেও টাই। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারির হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ইংল্যান্ডকে। অথচ ফাইনাল ম্যাচটা টাই না-ও হতে পারতো। ম্যাচের শেষ তিন বলে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৯ রান। বেন স্টোকস দৌড়ে ডাবলস নিতে গেলে কিউই ফিল্ডার মার্টিন গাপটিলের থ্রো লেগে যায় তার ব্যাটে। ব্যাটে লেগে দিক পরিবর্তন করে বলটি পার হয়ে যায় বাউন্ডারি। আম্পায়ার ওই চারের সঙ্গে দৌড়ে নেয়া দুই রানসহ দিয়ে দেন ৬ রান। শেষপর্যন্ত ম্যাচটি টাই হয়। কিন্তু ওভার থ্রোতে চার হয়ে গেলেও বল গায়ে লাগার পর দৌড়ে নেয়া অসম্পূর্ণ রান আর হিসেব হওয়ার কথা না। ওই সময় এক রান পূর্ণ হয়েছিল, দুই হয়নি। সে হিসেবে ৫ রান (৪+১) পাওয়ার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। ম্যাচ শেষে যেটা হিসেব হলে নিউজিল্যান্ডই ১ রানে জিতে যাওয়ার কথা ছিল।
বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আম্পায়ারের এই ভুল নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। অবশেষে ওভারথ্রো’র নিয়মে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব তুলতে যাচ্ছে এমসিসি। আর এমসিসির প্রস্তাব মানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটা প্রয়োগ হওয়ার জোর সম্ভাবনা।