× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের প্রতিবেদন /দেশের ৪ কোটি মানুষ ঠিকমতো খেতে পায় না

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) জুলাই ২২, ২০১৯, সোমবার, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকার পরও দেশের ৪ কোটি মানুষ ঠিকমতো খেতে পায় না, যা মোট জনসংখ্যার ১২.৯ শতাংশ। এদের মধ্যে অতিদরিদ্র ২ কোটি এবং দরিদ্র ২ কোটিসহ মোট ৪ কোটি মানুষ (২০১৬ সালের বিবিএস এর তথ্যানুযায়ী), যাদের অর্ধেক বেশি কম ও অপর অর্ধেক অল্প কম খেতে পায়। গতকাল রাজধানীর পল্টনে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের প্রকাশিত প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
 
ইআরএফ‘র সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমের সভাপতিত্বে ‘খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। সংলাপের সার্বিক সহায়তা করেছে ইকো কো-অপারেশনের সিভিক এনগেজমেন্ট এলায়েন্স প্রোগ্রাম ও ক্রিশ্চিয়ান এইড। সংলাপ সঞ্চালন করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম।

সংলাপে মহসিন আলী বলেন, সমাজে আয়-বৈষম্যের কারণে শীর্ষ ১০ ভাগ ধনী পরিবারের আয় মোট জাতীয় আয়ের ৩৮ শতাংশ এবং নিম্ন অবস্থানকারী ১০ ভাগ অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী মোট জাতীয় আয়ের মাত্র ১ শতাংশের মালিক। এ পরিস্থিতি দেশে সব মানুষের মৌলিক অধিকার খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বস্ত্র ও বাসস্থান প্রতিষ্ঠার বিষয়কে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করে তুলেছে। এ কারণে অবিলম্বে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অতিদরিদ্র ও দরিদ্র মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

মহসিন বলেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এরপরও এখনো বাংলাদেশের ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অপুষ্টির শিকার।
যার মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ নারী রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন। উত্তরবঙ্গসহ দারিদ্র্যপ্রবণ ৯ জেলায় ও এর বাইরে চরাঞ্চল, হাওর এলাকা, মহানগরের বস্তিবাসী, চা বাগানের শ্রমিক, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে ইকো কো-অপারেশনের আরশাদ সিদ্দিকী বলেন, এ বিষয়ে গণমাধ্যম খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতি বিষয়ে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরে খাদ্য অধিকার আইনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে দেশব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া প্রতিবেদনের মাধ্যমে নীতি-নির্ধারক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর