× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রিলিফের নামে প্রহসন চালাচ্ছে সরকার: গণফোরাম

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) জুলাই ২২, ২০১৯, সোমবার, ১:২৭ পূর্বাহ্ন

সারাদেশে বন্যা দুর্গতদের রিলিফ দেয়ার নামে সরকার প্রহসন করছে বলে অভিযোগ করেছে গণফোরাম। আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।
 
আবু সাঈদ বলেন, কুড়িগ্রামে বিগত কয়েকদিন ধরে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য  মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আমিনের নেতৃত্বে রিলিফ টিম কাজ করছে।  সেখানে বহু প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছেনি। খাবার নেই, ওষুধ নেই এবং পানি নেই। এবার সাহায্য সংস্থার লোকজনও তেমন তৎপর না। অথচ বন্যার প্রকোপ এবার সবচেয়ে বেশি। আর কুড়িগ্রামে ৭০ দশমিক ০৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে।

তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত ১২ লাখ লোকের জন্য দেড় সপ্তাহে সরকার থেকে বরাদ্দ হয়েছে জন প্রতি মাত্র ১ টাকা ১২ পয়সা, চাল ৬৬ গ্রাম এবং শুকনো খাবার ৩ হাজার প্যাকেট। এটি রিলিফের নামে প্রহসন।

তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ ৭ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা। এর সঙ্গে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট যোগ করলে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
এত টাকা বাজেট বরাদ্দ সত্ত্বেও বন্যার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের চালচিত্রের তেমন পরিবর্তন হয়নি, হয়েছে গুটিকয় কর্মকর্তা, আমলা ও ঠিকাদারদের। যারা বাঁধ নির্মাণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করছে।

আবু সাঈদ বলেন, আমরা বলতে চাই, বানভাসি মানুষের নিরাপদ জীবন ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা, সরকারি ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও প্রয়োজন, জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণপূর্বক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে রিলিফ কমিটি করে ত্রাণ তৎপরতা চালানো দরকার। নদীভাঙন কবলিত চরাঞ্চলের বিপন্ন মানুষদের জন্য ত্বরিত গতিতে ত্রাণ তৎপরতা গ্রহণ।

এ সময় চিলমারী-রাজীবপুর ও রৌমারি এলাকাসহ অধিকতর বন্যা আক্রান্ত উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার দাবি জানান আবু সাঈদ।

বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভূটান এমনকি প্রয়োজনে চীনের সঙ্গে একত্রে কার্যকর আঞ্চলিক উদ্যোগে পানি সমস্যার সমাধান এবং নদী ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দায় আফ্রিক, মোহাম্মদ আজাদ হোসেন, লতিফুর বারি হামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর