× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রিয়া সাহার বক্তব্য নিয়ে আনন্দবাজার /নিন্দা বর্ষণের মধ্যেও শাসকদলের নরম মনোভাব

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুলাই ২২, ২০১৯, সোমবার, ৫:৪০ পূর্বাহ্ন

ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার নালিশ নিয়ে বিতর্কে জেড়বার নেটিজেনরা। শাসকদল আওয়ামী লীগ, ১৪ দল এমনকি সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিন্তু লন্ডন সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পরিস্থিতি বদলে যায়। কলকাতার আনন্দবাজার এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে, তসলিমা প্রিয়ার পাশে, নরম হাসিনা। আনন্দবাজার লিখেছে,
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশ করায় এনজিও-কর্মী প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের নিন্দা বর্ষণের মধ্যেই নরম মনোভাব নিয়ে চলার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শাসক দল আওয়ামী লীগের যে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবারেও প্রিয়া সাহার বক্তব্যকে ‘দেশদ্রোহী’ কাজ বলে কঠোর শাস্তি দাবি করেছিলেন, তিনিই রবিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানিয়েছেন প্রিয়া সাহার ব্যাখ্যা না-শুনে কোনও আইনি ব্যবস্থা না-নেয়ার জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওয়াশিংটনে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের একটি আলোচনা সভার পরে বিশ্বের নানা দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বুধবার হোয়াইট হাউসে গিয়ে প্রিয়া ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে নির্যাতনের মুখে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। তার পরেও রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা মুসলিম মৌলবাদীদের নিরন্তর নির্যাতন চলছে তাঁদের ওপর। এর পরেই শাসক দলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রী প্রিয়ার কাজকে ‘সরকার-বিরোধী চক্রান্তের অঙ্গ’ বলে বিবৃতি দেওয়া শুরু করেন।
সোশ্যাল সাইটে নেটিজেনদের আক্রমণ শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। শনিবার ঢাকায় প্রিয়ার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান সরকার-সমর্থকেরা। রবিবার দু’টি আলাদা আলাদা মামলা করে প্রিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনেন দুই ব্যক্তি। মামলার তোড়জোড় শুরু করেছিল সরকারের আইন মন্ত্রকও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন লন্ডনে। দুপুরে ওবায়দুল কাদের তাঁর নির্দেশের কথা ঘোষণা করার পরে আইন মন্ত্রক হাত গুটিয়ে নেয়। বিকেলে প্রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দু’টিও খারিজ হয়েছে।
আক্রমণের মধ্যেই নেটিজেনদের একাংশ প্রিয়ার বক্তব্যের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। ২৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ফেসবুকে লেখেন, ‘ট্রাম্পকে প্রিয়া সাহা যা বলেছেন, কমই বলেছেন। খুব মাপা সময়। ভয়াবহতা বর্ণনা করার সময় তাই পাননি।’ তসলিমার কথায়, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও নির্যাতন বাংলাদেশে চলছেই। সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পটভূমিকায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে ‘লজ্জা’ উপন্যাসের জন্যই মৌলবাদীদের রোষে পড়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তসলিমাকে। প্রিয়ার বক্তব্যকে সমর্থন করে ফেসবুকে লিখেছেন গণ আন্দোলন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারও। সরকারি তথ্য দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, ট্রাম্পকে দেওয়া প্রিয়ার পরিসংখ্যান আদৌ ভুল নয়। ইমরান লিখেছেন, ‘প্রিয়া সাহার বক্তব্য ভুল প্রমাণিত করার জন্য তিনি দেশে ফেরার আগেই সকল সাম্প্রদায়িক দেশদ্রোহীকে কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করা হোক বাংলাদেশ বাস্তবেও একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ।’
এর মধ্যেই ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন প্রিয়া সাহা। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, সরকারি তথ্য থেকেই তিনি তাঁর পরিসংখ্যান পেয়েছেন। ১৯৪৭-এ ভারত ভাগের সময়ে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছিলেন জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। এখনকার বাংলাদেশে তা কমে ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১১-র একটি গবেষণার রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৬৩২ জন করে সংখ্যালঘু কমে যাচ্ছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর