× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম মহানগরেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের ২১ দিনে নগরীর চারটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী এই তথ্য দিয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ৫ জন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ জন, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪ জন এবং মেডিকেল সেন্টার, সিএসসিআর ও রয়েল হাসপাতালে ১ জন করে মোট ১৬ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, এর আগে গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় চট্টগ্রামে। তবে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে টানা বৃষ্টিপাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঢাকা শহরে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে।
বৃষ্টিপাতের পর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রামেও।

তিনি জানান, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের খুব একটা খবর পাওয়া যায়নি। তবে ২য় ও ৩য় সপ্তাহে এসেই ডেঙ্গুর প্রকোপ দৃশ্যমান হচ্ছে চট্টগ্রাম শহরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে রাখার কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
সিভিল সার্জন বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু মহামারী রূপে আবির্ভূত হলেও চট্টগ্রামে ততটা নেই। যদিও এখন এর প্রকোপ কিছুটা বাড়ছে। তবে আমরা প্রস্তুত আছি। চারদিকে খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে মেডিকেল টিমসহ সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কন্ট্রোলরুমও চালু করা হয়েছে। ১৫টি উপজেলা তদারকির জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নগরের ৯টি আরবান ডিসপেনসারিতে ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি  দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে টিম এসে জরিপ কার্যক্রম তদারকি করবে। জরিপে কোন প্রজাতির মশার উপদ্রব বেশি তা নির্ণয় করা হবে।
বিশেষ করে এডিস মশার উপদ্রব জানতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জরিপে কোন কোন এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ সেটিও উঠে আসবে। এরপর সিটি করপোরেশন সে অনুযায়ী মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
সিভিল সার্জন জানান, প্রতি দুই বছর পর ভেক্টর জরিপ নামে এ জরিপ কার্যক্রম চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিজ কন্ট্রোল (রোগ নিয়ন্ত্রণ) শাখা। ২০১৭ সালের আগস্টে সর্বশেষ চট্টগ্রামে এ জরিপ পরিচালিত হয়। সে হিসাবে এখন আবারো জরিপের সময় এসেছে।

জরিপের আওতায় নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে একটি করে এলাকা চিহ্নিত করা হবে। প্রতি এলাকার ১০টি বাড়িতে জরিপ টিম যাবে। কীটতত্ত্ববিদ, কীট টেকনিশিয়ান ও তথ্য সংগ্রহকারী সমন্বয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার লার্ভা সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি বাড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় কৌটা, খালি টিন, টায়ার পড়ে আছে কিনা তাও দেখবে।

জরিপে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২০ শতাংশের বেশি এডিস মশার উপদ্রব পাওয়া গেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেকটি টিম এসে ওই এলাকার মানুষের রক্ত পরীক্ষা করা হবে। এর মাধ্যমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বা আক্রান্তের শঙ্কা বা মাত্রা জানা যাবে। আর এই মাত্রা বুঝেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আমরা চিঠি দিয়ে রেখেছি। অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে এবং চট্টগ্রামের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর