× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফের পাকিস্তান সফর নিয়ে ‘দুশ্চিন্তা’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার

আবারো বাংলাদেশের মাথায় চাপছে পাকিস্তান সফরের দুশ্চিন্তা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) প্রকাশ করেছে আগামী ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। সেখানে আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজ রয়েছে দলটির। ওই সফরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সঙ্গে রয়েছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে, ভেন্যু কোথায় সেটা উল্লেখ করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাদের এই এফটিপি প্রকাশের পর বাংলাদেশের মাথায় চেপেছে ফের দুশ্চিন্তা। কারণ ২০১২তে নিরাপত্তার কারণে সফর বাতিল করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার জের ধরে পরবর্তীতে বিসিবির মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হয়েছিল পিসিবিকে।
শুধু তাই নয়, সেবার  দেশটির ক্রিকেট বোর্ড তাদের ক্রিকেটারদের বিপিএলে খেলতেও আসতে দেয়নি। যদিও সেই বরফ গলেছে। তারা বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ২০১৫তে। কিন্তু আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে টাইগাররা আর পাকিস্তানের মাটিতে কোনো সিরিজ খেলতে যায়নি। এবারও যদি না যায় তাহলে কি হবে? আবারো কি দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে! এমন সব প্রশ্ন এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘এফটিপিতে তো সফর থাকবেই। কিন্তু বিসিবি তো এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আসলে এখানে বিসিবির চেয়ে আইসিসির সিদ্ধান্তই বড়। তারা যদি সেখানে নিজেদের আম্পায়ার ও অফিসিয়াল পাঠায় ও পাকিস্তানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় তাহলে আমরা ভাববো। তবে সবার আগে ভাববো আমাদের নিরাপত্তার কথা।’
২০০৯ সালে লাহোরে সফরকারী শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। এরপর থেকে দেশটিতে বন্ধ রয়েছে বিদেশি ক্রিকেট দলগুলোর সফর। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড মরিয়া যে কোনো মূল্যে নিজেদের দেশে ক্রিকেট ফেরাতে। কিন্তু পাকিস্তানের অভ্যন্তরিণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়াতে সেখানে কোনো দেশই সফরে যাচ্ছে না।  এমনকি আইসিসিও তাদের অফিসিয়াল আম্পায়ার সেখানে পাঠানো বন্ধ রেখেছে। এরপর বাংলাদেশকে নিতে না  পেরে ভীষণ চটেছিল পাক ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ তাদের চাপে কিছুটা রাজিও হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় টাইগার ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন  বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক খন্দকার দিদার-উস-সালাম এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কামাল  হোসেন মিয়াজি। সেই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। সেই আদেশের কারণে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সফর বাতিল করে বিসিবি। পিসিবির তৎকালীন চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ বলেছিলেন ‘আমরা আশা করেছিলাম বাংলাদেশ ১০ই জানুয়ারি  (২০১২) পাকিস্তানে খেলতে আসবে। তারপর তারা কখনো বলেছে তারা আসছে, কখনো বলেছে তারা আসছে না। তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি। এখন তারা বলছে, পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের বিপিএল এ খেলতে দাও। তাহলে আমরা এপ্রিল মাসে পাকিস্তানে দল পাঠাবো। কিন্তু আমরা কিভাবে তাদের কথা আর বিশ্বাস করি। তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্যে নেমে এসেছে।’ শেষ পর্যন্ত সেবারের বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলতে দেয়নি পিসিবি।  পরে জানা যায়, সফর বাতিল করায় পিসিবি’কে  প্রায় তিন লাখ পঁচিশ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বিসিবি। এবারও যদি বাংলাদেশ নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান সফরে না যায় তাহলে কি বড় অংকের জরিমানা গুনতে হবে? এ বিষয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘প্রশ্নই আসেনা। আমরা কেন জরিমানা দেবো? সেখানে তো অন্য দেশও যাচ্ছে না। যদি সব দেশ যায় আইসিসিও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের ছাড়পত্র দেয় তাহলে আমরা যাবো। এরপরও যদি না যাই সেই ক্ষেত্রে ভিন্ন বিষয়। কিন্তু অন্য দেশ না গেলে আর আইসিসি অনুমোদন না দিলে আমরা কেন যাব? আর কেনই বা জরিমানা দিবো। এই সব নিয়ে এখন ভাবছিনা। বোর্ড মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা হবে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা গতকাল বলেন, বিষয়টি কিছুটা দুশ্চিন্তারই। পিসিবি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এর আগে তারা সে উদ্দেশ্য সফল করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল। এমনকি সেখানে খেলে এসেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলও।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়মের কারণে প্রতিটি দেশকেই এই চার বছরের মধ্যে পারস্পরিক সফর বিনিময় করতে হবে অন্তত দু’বার। একবার হোম সিরিজ এবং একবার অ্যাওয়ে সিরিজ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর