ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ফুল মিয়া (২৬) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফুল মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বহরা গ্রামের শিশু মিয়ার ছেলে। গত ১৫ই জুলাই বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ফুল মিয়ার মৃত্যু হয়। ৮ দিন ধরে ফুল মিয়ার লাশ সেখানে একটি হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে। ৮ দিন অতিবাহিত হলেও তার লাশ দেশে ফেরত আসেনি। নাড়িছেড়া সন্তানের মৃত্যু সংবাদে তার পরিবারে শোকের মাতম চলছে। মা-বাবার কান্না থামছে না এখনো। ফুল মিয়া, ফুল মিয়া বলে প্রলাপ করে দিন কাটাচ্ছেন মা-বাবা।
নাড়িছেড়া ধনের নিষ্প্রাণ লাশটি দেশে ফেরত এনে শেষবারের মতো দেখতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে মা-বাবা। তবে কীভাবে লাশ ফেরত আনতে হবে তা জানা নেই তাদের। নিজ খরচে দেশে লাশ ফিরিয়ে আনার আর্থিক সামর্থ্যও নেই পরিবারের। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে ধর্ণা দিয়ে আহাজারি করছে তার বাবা। ২০১১ সালে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে ধার দেনা করে হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান ওমানে পাড়ি জমান। এরপর থেকেই ছেলের পাঠানো টাকায় ভালোই কাটছিল শিশু মিয়ার পরিবারের দিনকাল। হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় ফুল মিয়ার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন দিশেহারা। বহরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান জানান, লাশ দেশে ফেরত আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ওমান দূতাবাসে আবেদন করব। লাশ ফেরত আনার ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর কাছে সহযোগিতা চাওয়া হবে।