নাটোরের বাগাতিপাড়ার মাধববাড়িয়া স্কুলে সিনিয়র শিক্ষার্থীর প্রেমে বাধা দেয়ার প্রতিশোধ নিতে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে হামলা করতে এসে দেশীয় অস্ত্রসহ জনতার হাতে আটক হয়েছে ৭ জন। এর মধ্যে ভ্যানচালকও রয়েছে। আটক ৬ শিক্ষার্থী একই উপজেলার মাধববাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর রহমতুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়, হাটগোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও বনপাড়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। বাগাতিপাড়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটককৃতরা হলো- উপজেলার বড়বাড়ি ভাটোপাড়া এলাকার এসকেন মণ্ডলের ছেলে আশিকুর (১৬), হাটগোবিন্দপুর এলাকার সাহেব আলীর ছেলে সাব্বির (১৬), একই এলাকার দুলাল সরকারের ছেলে কবির হোসেন (১৫), চাঁদপুর শেখপাড়া এলাকার মিন্টুর ছেলে আজিম (১৪), হাটগোবিন্দপুর এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে সামিউল বাশির (১৯), শেখপাড়ার শাহজাহানের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৬)। ভ্যানচালক আবদুর রহমান (২৩) চাঁদপুর এলাকার সাহাত আলীর ছেলে।
বাগাতিপাড়া থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন মাধববাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান গাজী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানান, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় মাধববাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পছন্দ করতো ওই স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আজিম। প্রায়ই সে ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। নানা উপায়ে সে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে নানা উপায়ে তার পছন্দের কথা জানাতো। বিষয়টি জেনে একই স্কুলের ১০ম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম এর জন্য আজিমকে সতর্ক করে।
এ ধরনের আচরণ থেকে সরে আসতে বলে। এনিয়ে রবিউলের সঙ্গে আজিমের বাক-বিতণ্ডা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রধান শিক্ষক হাসান গাজী উভয়কে ডেকে মীমাংসা করে দেন। কিন্তু ক্ষোভ ভুলতে না পেরে আজিম গতকাল রবিউলকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি রবিউল প্রধান শিক্ষককে জানানোর পর গতকাল সকাল থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সতর্ক অবস্থানে চতুর্দিকে দৃষ্টি রাখছিল। এরই ধারাবাহিকতায় দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয় সংলগ্ন মোড়ে একটি ভ্যানে বহিরাগত ৬ শিক্ষার্থীকে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে তাদের চ্যালেঞ্জ করে স্থানীয় অধিবাসী নাজমুল। পরে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে অস্ত্রগুলো দেখতে পায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের ধরে বিদ্যালয় চত্বরে নিয়ে আসে। পরে বাগাতিপাড়া থানার একদল পুলিশ তাদের আটক ও অস্ত্রগুলো জব্দ করে। বাগাতিপাড়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, রবিউলের ওপর হামলা চালানোর জন্যই আজিম বহিরাগত ওই ৬ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে (আজিম) স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় অবৈধ অস্ত্র বহন ও হামলা চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।