এশিয়ার অন্যতম ও দেশের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকিতে আবারো জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। এমন খবরে মহা খুশি হাওর পাড়ের জেলে সম্প্রদায়, মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। গেল কয়েকদিন থেকে স্থানীয় কয়েকটি বাজারে অন্যান্য মাছের সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে হাকালুকির মাঝারি ও ছোট ইলিশও। অন্যান্য বছর মাঝে মধ্যে ইলিশের দেখা মিললেও এই বছর তা বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ ও হাওর পাড়ের জেলেরা। হাকালুকি হাওরের আশপাশের বাজারগুলোতে মাঝারি এবং ছোট সাইজের ইলিশ অন্যান্য মাছের সঙ্গে বিক্রি করছেন স্থানীয় মাছ বিক্রেতারা। জেলেরা জানান, এই ইলিশ সাগরের ইলিশের মতো ঘ্রাণ কিংবা স্বাদ না হলেও ক্রেতাদের চাহিদা প্রচুর। দামও পাওয়া যায় ভালো। কুলাউড়া উপজেলার আছুরিঘাট ও জুড়ীর তেঘরিঘাট ও কন্টিনালা এলাকায় হাকালুকি হাওরের মাছ বিক্রেতাদের কাছে গেল ক’দিন থেকে মিলছে ইলিশ।
বিক্রেতারা জানান, হাওরের ভাসমান পানিতে এখন জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। ওই স্থানের মাছ বিক্রেতারা জানান জেলেরা হাকালুকি হাওরের অন্যান্য মাছের সঙ্গে তাদের কাছে ইলিশও বিক্রি করছেন। কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, অন্যান্য বছর হাকালুকি হাওরে ইলিশ পাওয়া গেলেও এবছর তা বেড়েছে। এই ইলিশগুলো মূলত সাগর থেকে এসেছে। যেহেতু বন্যায় পানি বেড়েছে তাই সাগর থেকে মেঘনা হয়ে সিলেটের কুশিয়ারা এবং সুরমা নদী দিয়ে মাছগুলো হাকালুকি হাওরে এসেছে। তিনি জানালেন, হাকালুকিতে ইলিশ ফেরায় জেলেদের মতো তারাও খুশি। কারণ এতে করে তারা মনে করছেন হাকালুকি তার ঐতিহ্যর পথে এগুচ্ছে। হাওর বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও, কৃষি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন আহমদ বাদশা জানান আগে সব সময়ই হাকালুকি হাওর ও কুশিয়ারা নদী বড় বড় ইলিশ ধরা পড়তো। বুড়ি কেয়ারী বাঁধ হওয়ার পর ইলিশের উৎপাদন হচ্ছে না। এবছর বন্যা হওয়াতে কিছু ইলিশ ধরা পড়ছে। বুড়ি কেয়ারী বাঁধ অপসারণ নদী হাওরের বিলগুলো খনন হলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছেরও উৎপাদন বাড়তো। আর রক্ষা পেতো মহা হুমকিতে থাকা নানা প্রজাতির জীববৈচিত্র্য।