× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে শিশু আলিফ হত্যা / ঘাতকের ফাঁসি

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জ শহরের জল্লারপাড়ের শিশু আলিফ হত্যা মামলার রায়ে একমাত্র আসামি অহিদুল ইসলাম ওরফে অহিদুল্লাহ (১৯)কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে নিহত আলিফের পরিবারের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডিত অহিদুল্লাহ নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চরহাসান এলাকার মাকসুদের ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, জল্লারপাড় এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আলমগীর হোসেনের ছোট ছেলে আলিফ গত বছরের (২০১৮ সালের) ১৬ই আগস্ট বেলা এগারোটার দিকে নিজ বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এ সময় প্রতিবেশী নান্নু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটে অহিদুল ইসলাম চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশু আলিফকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আলিফ নিখোঁজ থাকে। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ অহিদুলের বাসার ভেতরে কংক্রিটের স্তূপের নিচ থেকে পলিথিনে মোড়ানো ও বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে আলিফের লাশ।
এ ঘটনার পরদিন সকালে নিহত আলিফের বাবা সদ্য দেশে আসা আলমগীর হোসেন সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামি অহিদুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে আলিফ হত্যাকাণ্ডের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে চলতি বছরের ২৬শে ফেব্রুয়ারি আদালত এই মামলার অভিযোগ গঠন করে। মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ এ রায় প্রদান করেন। নিহত আলিফের মা সালমা বেগম বলেন, আমি তো আর আমার সন্তানকে ফিরে পাবো না। বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর বলেন, আদালতের রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে রায় দ্রুত কার্যকর করা হয়।




অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর