স্বামীর সংসারে বসবাস করেও স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে আদালতে যৌতুকের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শুকনাছড়া গ্রামে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই গ্রামের বাসিন্দা পেশায় হাতির মাহুত রফিক মিয়া একাধিক বিয়ে করেছেন। তার তৃতীয় স্ত্রী একই গ্রামের মবশ্বির আলীর কন্যা রাছনা বেগম (৩৩) স্বামীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা গোপন করে ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটিতে নালিশ পিটিশন দেন। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি থেকে বিষয়টি আপস মীমাংসা করার জন্য বারবার সমন পাঠানো হলেও বিবাদী কোনো সমন নোটিশ পাননি বলে সাংবাদিকদের জানান। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি থেকে পাঠানো সমন নোটিশ সাগরনাল ইউপির ঠিকানায় গেলে কে বা কারা স্বাক্ষর করে রেখেছে তাও জানেন না রফিক মিয়া। এ ব্যাপারে সাগরনাল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য জুনেদ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আদালতের সমনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
তবে রাছনা বেগম নামের এক মহিলা একদিন এসে তার কাছে রফিকের স্ত্রী দাবি করে বিচার প্রার্থী হওয়ায় তিনি রফিকের বাবার বাড়ির লোকজনের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রফিক বেশ কয়েক বছর থেকে এখানে থাকেন না। তখন তিনি বিষয়টি ওই মহিলাকে জানিয়ে দেন বলে জানান। পরে জানতে পারেন ওই মহিলা আদালতে মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন আহমদ লেমন বলেন, রফিকের স্ত্রী রাছনা বেগমকে কয়েকবার তলব করেছি। এমনকি তার পিতাকেও বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য তলব করা হয়েছে কিন্তু তারা আসেন নি। যতদূর জেনেছি তার শ্বশুর থেকে জমি বন্ধক নিয়ে ওই জমিতে ফসল ফলিয়ে তার সন্তাদের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করেছে সে। এখন মামলা হলো কেন তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ষড়যন্ত্রের শিকার রফিক মিয়া। তবে জানতে চাইলে রাছনা বেগম জানান, আমার বাবার কাছ থেকে যে জমি বন্ধক রাখা হয়েছে তার ফসল থেকে আমি আমার দুটি মেয়েকে নিয়ে মাত্র ৪ মাস খোরাকি চালাতে পারি। বাকি ৮ মাস আমাকে কে চালাবে। এর জন্য মামলা দিয়েছি আমি।