× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছাত্রীদের যৌন হয়রানি / ধাওয়া খেয়ে পালালেন শিক্ষক

বাংলারজমিন

বরগুনা প্রতিনিধি
২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে তাকে ধাওয়া দেন গ্রামবাসী। এরপর থেকে প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
শনিবার দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব ঘুটাবাছা নূরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম মাওলানা আবদুল হালিম।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ছগির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রীদের বরাত দিয়ে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নেছার উদ্দিন জানান, মাওলানা আবদুল হালিম প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন। লেখাপড়া না পারলে মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন তিনি। গত ১৬ই জুলাই বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। ওইদিন বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ান প্রধান শিক্ষক।
এ সময় দু’জন ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন তিনি। ওইদিনই ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকের কাছে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনা বিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকাবাসী জেনে প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হন।

পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ছগির হোসেন জানান, ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের জন্য প্রধান শিক্ষককে তিনদিনের ছুটিতে পাঠানো হয়। পরে শনিবার প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে গ্রামবাসী ধাওয়া দেন। এতে প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম জানান, সহকারী শিক্ষক মো. নেছার উদ্দিন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তারপরও স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করেছি।
পাথরঘাটা উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কর্মকর্তা নগেন্দ্রনাথ হাওলাদার জানান, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর