পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটির (অ্যালায়েন্স) সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। এছাড়া, রায়ে মৌলিক অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকের প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানি দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে বলেও বায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। কল কারখানা অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার তানজীম উল আলম।
ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রানা প্লাজা ধসের পরে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে দু’টি জোট হয়। ইউরোপিয়ান ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড এবং উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স। তাদের কাজ ছিল পর্যবেক্ষণ করা এবং সরকার ও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে কাজ করা। সেটা না করে তারা নিজেরাই ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করে। সেই কারণে এস্কেলেশন প্রটোকল চ্যালেঞ্জ (সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া) করে ২০১৭ সালে একটি মামলা হয়। ওই মামলার শুনানি শেষে আদালত রায় দিয়েছেন।
রায়ে দু’টি নির্দেশনা এসেছে- বাংলাদেশি নাগরিকদের তৈরি কোনো কোম্পানি একজন নাগরিকের মতো সংবিধানের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশের কোনো কারখানার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে না। তবে অ্যালায়েন্স সরকার ও বিজিএমইএ’র সঙ্গে বসে একটি বৈধ প্রটোকল তৈরি করতে পারবে।