× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এক প্রেমিককে পেতে দুই যুবতীর জোট, একজনের স্বামীকে হত্যা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) জুলাই ২৩, ২০১৯, মঙ্গলবার, ৪:০৩ পূর্বাহ্ন

এক প্রেমিককে পেতে অদ্ভুত এক জোট গঠন করলেন দুই যুবতী। ভারতের চেন্নাইয়ে গৃহবধূ গায়ত্রী স্বামী নাগরাজ। স্বামীর বন্ধু মেহেরদানের প্রেমে পড়েছিলেন গায়ত্রী। বিষয়টি জানতেন মেহেরদানের স্ত্রী বানুও। স্বামীর এমন পরনারীর প্রতি আসক্তিতে কোনো আপত্তি ছিল না তার। ওদিকে গায়ত্রী-নাগরাজ সম্পর্কের খবর জেনে ফেলেন নাগরাজ। তিনি স্ত্রী গায়ত্রীকে এ সম্পর্ক ছিন্ন করার অনুরোধ করেন। কিন্তু তার স্ত্রী এ পথ থেকে ফেরেন নি।
ফলে মেহেরদানকে হত্যা করার হুমকি দেন নাগরাজ। এতে এক হয়ে জোট গঠন করেন গায়ত্রী ও বানু। তারা পরিকল্পনা করেন মেহেরদানকে তাদের দু’জনেরই প্রয়োজন। দু’জনই তাকে ভালবাসেন। তাই তারা পরিকল্পনা করেন মেহেরদানকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবেন। সেই অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলে। সত্যি তারা হত্যা করেন মেহেরদানকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এতে আরো বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে বানুর সঙ্গে পরামর্শ করেন গায়ত্রী। তারা পরিকল্পনা করেন নাগরাজকে খুন করবেন। এ নিয়ে দু’জনে একজোট হন।  গায়ত্রীর সঙ্গে মেহেরদানের সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলেন তার স্ত্রী বানু। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ নাগরাজ ও তার সন্তানরা যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন বানুকে ডেকে পাঠান গায়ত্রী। তারা দু’জনে মিলে নাগরাজের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে খুন করেন। প্রেমিক মেহেরদানের সঙ্গে থাকতে একজোট হলেন এই দুই প্রেমিকা। তাদের মধ্যে একজন অপরজনের সাহায্য নিয়ে খুন করলেন নিজের স্বামীকে।

ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের নারকুন্দ্রামে। ২৮ বছর বয়সী অটোচালক নাগরাজ। তাকে খুন করেছে তার স্ত্রী ২৮ বছর বয়সী গায়ত্রী ও তার সমবয়সী বান্ধবী বানু। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী গায়ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে শক্তিনগরে থাকতেন নাগরাজ। তার বন্ধু ২৭ বছর বয়সী গাড়ির চালক মেহেরদানের সঙ্গে বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন গায়ত্রী। দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন নাগরাজ। তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদ করতে বললে তাতে রাজি হয়নি মেহেরদান। প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদে রাজি ছিলেন না গায়ত্রী। দুই সন্তানকে নিয়ে বোনের বাড়ি চলে যান তিনি। এরপরই মেহেরদানকে খুনের হুমকি দেন নাগরাজ। গত সপ্তাহে গায়ত্রী ও সন্তানদের বাড়ি ফিরিয়ে আনেন নাগরাজ। তিনি তার বন্ধুদেরও বলেন যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তিনি মেহেরদানকে খুন করবেন। এতেই আতংকে পড়ে মেহেরদানের স্ত্রী বানুর সঙ্গে মিলে নাগরাজকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন গায়ত্রী। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ নাগরাজ ও তার সন্তানরা যখন ঘুমোচ্ছে, তখন বানুকে ডেকে পাঠায় গায়ত্রী। তারা দু জনে মিলে নাগরাজের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে খুন করে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে দোপাট্টা দিয়ে তার শ্বাসরোধও করা হয়। এরপর সকালে যে যার কাজে চলে যায় দুই মহিলা। গায়ত্রীর ভাই বাড়ি ফিরে দেখেন, নাগরাজের দেহ পড়ে রয়েছে। মেহেরদানের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর