বাইসাইকেলের ওপরেই দোকান। সারাদিন তারা গ্রাম থেকে গ্রামে ঘোরে। এদের কাস্টমার হলো গ্রাম্যবধূসহ সাধারণ পল্লীবালারা। কোনো দরদাম নেই- এদের মোবাইল দোকানে। প্রতিটি জিনিসের দাম মাত্র ২ টাকা। এদের দোকানে পাওয়া যায় চুড়ি, ফিতা, আলতা, সাবান, খেলনা, ঘড়ি, মোটরসাইকেল, চাটনি, চকলেট, মালা, কানের দুল, টিপ, রুমাল আরো কত কী। দিনে এদের আয় হয় ২শ’ থেকে সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা। অধিকাংশ দোকানদারের বাড়ি পার্বতীপুর।
সুমন, মজিদুল এদের মতো আরো অনেকে ২ টাকার দোকান নিয়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে ভোরে বেরিয়ে যান গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে। সাইকেলে দোকানের মালামালসহ ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন গ্রামে সাইকেলের ওপর দোকানের পসরা সাজিয়ে তা বিক্রি করেন। সন্ধ্যায় কোনো স্কুল, চাতালের বারান্দায় বা আনুরোধে কারো বাড়িতে রাত কাটান। ১০-১৫ দিন পর বাড়িতে যান। পরিবারের খাওয়া ও বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ দিয়ে আসেন। ২-১ দিন পর আবার ফিরে আসেন ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত এলাকায়। সুমন ও মজিদুল জানান, এমনিভাবে কোনোরকমে তারা জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবে তাদের বড় উদ্দেশ্য হলো, তাদের সন্তানেরা পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে মানুষ হলেই তাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।