× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দোহারে সরকারি চাল জব্দ /চেয়ারম্যানের চালবাজিতে সিলগালা উধাও

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা ও দোহার প্রতিনিধি
২৪ জুলাই ২০১৯, বুধবার

দোহার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল জব্দ ও গোডাউন সিলগালা করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন সিলগালা করে চালগুলো জব্দ করা হয়। পরে সোমবার সকালে গোডাউনের সিলগালা খোলা দেখে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারি চাল বিতরণ না করে গোডাউনে মজুত রেখেছে। আর এ বিষয়টি ইউএনও  আফরোজা আক্তার রিবা আমাকে বিষয়টি দেখার আদেশ দেন। আমি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ম্যাডামের কথামতো গোডাউনটি সিলগালা করে আসি। তবে সকালে কে বা কারা গোডাউনটির সিলগালা খুলেছে তা আমার জানা নেই। স্থানীয়রা জানায়, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ ভিজিএফ চাল হতদরিদ্রদের বিতরণের জন্য মজুত করা হলেও তাদের ঈদের আগে চাল বিতরণ না করে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে গোডাউনজাত করেন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা।

হতদরিদ্রদের চাল বিতরণে চরম অনিয়মের অভিযোগ এনে ঐ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাশেম বলেন- প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে হতদরিদ্রদের প্রতি পরিবারের জন্য ১৫ কেজি করে মোট ১৮০৬ পরিবারের মধ্যে কিছু চাল বিতরণ করলেও বাকি চাল রেখে দেন চেয়ারম্যান। কিন্তু পরিষদের নির্বাচিত ১২ জন সদস্যের মতামতকে উপেক্ষা করে একতরফাভাবে মাস্টাররোল তৈরি করে চাল সঠিক প্রক্রিয়ায় বিতরণ না করে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছেন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা। ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. শেখ আয়নাল, ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আবুল হোসেন, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ ইসকান্দার, ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য ফরহাদ হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল হক বেপারী, ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মোতালেব মোল্লা, ১ নং ওয়ার্ড সদস্য সারোয়ার হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সোনাই বিবি জানান, রোববার রাতে হঠাৎ গোডাউনে বিপুল পরিমাণ চাল দেখতে পাই। পরে উপজেলা প্রশাসনকে জানালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সিলগালা করে রেখে যান। কিন্তু সকালে সেই সিলগালাকৃত গোডাউনের চাল উপজেলা প্রশাসন যাচাই না করার আগেই চেয়ারম্যানের লোকজন গোডাউন খুলে দিয়েছেন অভিযোগ উঠলে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।  প্রতিবাদে জয়পাড়া সরকারি হাসপাতাল রোড থেকে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন  মোল্লার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এসময় তারা চেয়ারম্যানের চাল নিয়ে চালবাজি ও প্রশাসনের দেয়া সিলগালা উধাও হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন। তারা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা মানবজমিনকে জানান আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ  তোলা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার উপরে হিংসার প্রতিফলন হিসেবে এটা করিয়েছে একটা গ্রুপ। তিনি বলেন- যারা কার্ড পায়নি তারা না এসে মিছিলে কেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ অন্যান্য  লোকজন এসেছে তার কারণ জানতে চান আপনারা। তিনি বলেন, এলাকায় বন্যার পানি থাকায় কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। বন্যার পানি নেমে গেলে বিতরণ করা হবে। অথচ বন্যার্ত মানুষের এসময় চালের অনেক প্রয়োজন বলে মনে করেন এ উপজেলার সুশীল সমাজের মানুষ। দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন,  এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা চালগুলো আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলো বলে ইউপি সদস্যরা আমার কাছে এসেছিলো। আমি বিষয়টি ইউএনও’কে দেখতে বলেছি। তবে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা মেম্বারদের না জানিয়ে কাজকর্ম করে যা ইউনিয়ন পরিষদের জন্য মঙ্গলজনক না। গোডাউন কেন সিলগালা করলো প্রশাসন আবার কেনই বা খোলা পাওয়া গেল তা  আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি রহস্যজনক।   
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর