× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মনোহরদী ও কাপাসিয়ার ১০ গ্রামের ভরসা সাঁকো

বাংলারজমিন

মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
২৪ জুলাই ২০১৯, বুধবার

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর একটি পাকা সেতুর অভাবে নরসিংদীর মনোহরদী ও গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীসহ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দুই উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বাঁশের সাঁকোর স্থলে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হলে তাদের ভোগান্তি দূর হবে। মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর গ্রাম এবং কাপাসিয়ার মির্জানগর গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে গেছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ। দৌলতপুর ইউনিয়নের কোচেরচর, কীর্ত্তিবাসদী, নিশ্চিন্তপুর, কেরানীনগর এবং সনমানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণগাঁও, মির্জানগর, সনমানিয়া ও আড়াল গ্রামের মানুষ এ নদের উপর তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে দুই পাড়ের লোকজন মিলে বাঁশ সংগ্রহের পর সাঁকো তৈরি করে তার উপর দিয়ে চলাচল করছে। বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে প্রতিদিন দুটি কলেজ, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি ফাযিল মাদ্রাসা ও তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীসহ প্রায় চার সহস্রাধিক মানুষ চলাচল করে। দৌলতপুর গ্রামের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল-ফাহাদ জানান, উভয় পাড়ের শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় যেতে নানা রকমের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে আগত অনেক অতিথি সাঁকোতে চড়ার অভ্যাস নেই এবং ছোট-ছোট শিশুরা দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পাড়ি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। সনমানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ভূঁইয়া জানান, দুই পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি একটি সেতু নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে তাদের স্কুল-কলেজে যেতে পারবে এবং ব্যবসায়ীরাও তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দ্রুত বাজারজাত করতে পারবেন। দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম জানান, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে একটি সেতু নির্মাণ হলে দুই এলাকার লোকজনের মাঝে আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন তৈরি হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর