× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বান্দরবানে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে লাগবে ৬৭ কোটি টাকা

বাংলারজমিন

নুরুল কবির, বান্দরবান থেকে
২৪ জুলাই ২০১৯, বুধবার

টানা ১০ দিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। প্রবল বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে সড়কের ওপর পাহাড় ধস সেই সঙ্গে সড়ক দেবে গিয়ে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে সড়ক যোগাযোগ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বান্দরবান রুমা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে বান্দরবান-কেরানীর হাট চট্টগ্রাম সড়কের ওপর দিয়ে বেশ কয়েকটি স্থানে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এ সড়কটিতে টানা ৮ দিন পর সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। সড়কের উপর থেকে পানি নেমে গেলেও বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বান্দরবান-রুমা, থানচি আলীকদম সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে মাটি ধসে গিয়ে সড়কের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পাহাড়ি ঢলে প্রবল বর্ষণে এবারে বান্দরবানের বিভিন্ন সড়কে ৬৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।  সড়ক বিভাগ জানায় তাদের আওতাধীন ২৩৬ কিলোমিটার সড়কের ৩৩, ৩৮, ৫৫, ৫৭ ও ৫৯ কিলোমিটার অংশে সোল্ডার ও পেভমেন্ট উঠে ভূমি ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া রামু নাইক্ষ্যংছড়ি চিরিংগা লামা-আলীকদম সড়কে ৬ কোটি করে মোট ১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আজিজ নগর গজালিয়া সড়কে ৩ কোটি টাকা, টঙ্কাবতী বারো আউলিয়া সড়কে ১ কোটি টাকা, চেমি ডলু পাড়া, খান হাট, ধোপাছড়ি সড়কে ৫০ লাখ টাকা, বান্দরবান চিম্বুক থানছি আলীকদম বাইশারী ঘুনধুম সড়কে ২৮ কোটি টাকা ও বান্দরবান রোয়াংছড়ি রুমা সড়কে ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাহাড়ি ঢল ও বন্যায়। অন্যদিকে বান্দরবানের প্রধান সড়ক কেরানীহাট-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া, বুড়ির দোকানসহ বেশ কয়েকটি অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এ সড়কটিতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এই সড়কটির সংস্কার ও উঁচুকরণ কাজ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ করছে। সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ ৮ দিন ধরে বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে গত অর্থবছরে এই সড়কটির দস্তিদার হাট অংশে উঁচুকরণের ফলে ওই অংশটি এবার পানিতে তলিয়ে যায়নি। এদিকে বান্দরবন চিম্বুক থানছি সড়কে এবার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়কটির ৭টি অংশে পাহাড় ধসে পড়ে ও বলিপাড়া অংশে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সড়কটি সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ সংস্কার কাজ করছে। তবে এবার কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। বান্দরবান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজীব আহমেদ জানান এবারের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানে সড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়কগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড় ধস, সড়ক দেবে ও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পুরো বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এখনো সবক’টি সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা যায়নি। সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারে মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এসব সড়ক দ্রুত সংস্কার করা না গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর