ছেলেধরা, গলাকাটা গুজব নিয়ে সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে আনসার ভিডিপির সদস্যরা। তারা প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সতর্ক করে দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে মানুষের কোনো মাথা লাগবে না এবং এমন গুজবে যেন তারা কান না দেয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আনসার-ভিডিপির সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শরীফ কায়কোবাদ। মহাপরিচালক বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ আনসার বাহিনীর সদস্যরা দেশের প্রতিটি দুর্যোগে রাতদিন কাজ করেন। অন্য বাহিনীদের সঙ্গে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন। গত নির্বাচনে দায়িত্বপালনকালে বাহিনীর অনেক সদস্য মারা গেছেন। এছাড়া এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে আনসার সদস্যরা বাহিনীর নিজস্ব পোশাকে ডিউটি করেছেন। তবে সমপ্রতি এ বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে। অভিযোগ আসা মাত্র ওই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত চলাকালে তাকে আর দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয় না।  

ডিজি বলেন, আনসার সদস্যরা যাতে বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত ও অনুসন্ধান করতে পারে তার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি এখনো বিবেচনায় আছে। আনসার সদস্যদেরকে উন্নত ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করা হচ্ছে। প্রযুক্তিগত দিক দিয়েও তাদেরকে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে।  দায়িত্ব পালনের সময় ব্যবহারের জন্য ৩০ হাজার অস্ত্র যুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে আর করা হবে। সারাদেশে আনসার-ভিডিপির ৬১ লাখ সদস্য রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের অস্ত্রের ট্রেনিং রয়েছে। তারা বিভিন্ন নির্বাচন ছাড়াও দুর্যোগকালীন মুহুর্তগুলোতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে থাকেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই আনসার-ভিডিপির ৬৭০ জন্য সদস্য শহীদ হন। এর মধ্যে  একজন বীরবিক্রম ও আরেকজন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। মহাপরিচালক বাহিনীটির ভবিষ্যতের নানা পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আনসার-ভিডিপি ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) মাহবুবুর রহমান, পরিচালক সাইফুল ইসলাম,জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহেনাজ তাবাস্‌সুম রেবিন প্রমুখ।