বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কভার্ডভ্যানের চাপায় ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুতে ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন নিহতের পিতা ইউনুস আলী সর্দার। আগামী ২৮শে জুলাই রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ ফায়েজ জানিয়েছেন। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নিহত কিবরিয়ার বাবার পক্ষে আইনজীবী মো. ফয়েজ উল্লাহ এই আবেদন করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বরিশালের পুলিশ কমিশনার, বরিশাল ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম, যমুনা ইলেক্ট্রনিকস ও অটো মোবাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মো. আব্দুল জলিল মিয়াকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে এবং ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- সেই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। রুলে দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় বেপরোয়া চালকদের নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে এবং ট্রাফিক সার্জেন্ট, ট্রাফিক পুলিশদের কাজে নতুন আইন প্রয়োগ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার পরিবারকে পারিবারিক খরচ মেটানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ই জুলাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে চলতে থাকা যমুনা গ্রুপের একটি কভার্ড ভ্যানকে তিনি থামার সংকেত দিয়েছিলেন। কিন্তু কাভার্ড ভ্যানের চালক না থামিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী কিবরিয়াকে চাপা দেয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে সেদিন জানানো হয়। পরে গুরুতর আহত কিবরিয়াকে ওইদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ১৬ই জুলাই তিনি মারা যান।।