× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরাইলে ১৮ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার / গভীর রাতে ৩ জন ছাড়া পেলো

বাংলারজমিন

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২৪ জুলাই ২০১৯, বুধবার

 সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশে সহকারী পুলিশ সুপারের (সরাইল সার্কেল) কার্যালয়ের সন্নিকটে জুয়ার আসর থেকে হাতেনাতে ১৮ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে জুয়া খেলার উপকরণ ও টাকা। গ্রেপ্তারের প্রায় ৮ ঘণ্টা পর রাজনৈতিক তদবিরে ৩ জুয়াড়িকে ছাড়ের ঘটনায় বইছে সমালোচনার ঝড়। গত সোমবার রাতে সরাইল সদর ইউনিয়নের হাসপাতাল মোড়ে সহকারী পুলিশ সুপার মো. মগবুল হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এ ঘটনা ঘটেছে। কিছু তদবিরের কাছে অসহায়ত্বের কথা স্বীকারও করেছেন পুলিশ। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, হাসপাতাল মোড়ে সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের উল্টোদিকে একটি টিনশেড ঘর। ঘরটির ভাড়া বাজার ধরে সর্বোচ্চ ৮০০-১০০০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু ওয়াসিম নামের এক যুবক ওই ঘরটি মাসিক ৩ হাজার টাকায় ভাড়া নেন।
মালিককে হোটেল ব্যবসার কথা বললেও তিনি শুরু থেকেই এ ঘরে জুয়া পরিচালনা করছেন। পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে গত ৩-৪ বছর ধরে দিনেরাতে নানা শ্রেণি পেশার লোকজন দেদার খেলছেন জুয়া। এ সড়কে আরো কয়েকটি স্পটে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সেক্টরকে ম্যানেজ করেই চলছে জুয়া। সোমবার রাত ১০টার পর সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে হাসপাতাল মোড়ে অভিযান চালায় সরাইল থানা পুলিশ। ওই ঘরের ভাড়াটিয়া ওয়াসিমসহ ১৫ জনকে জুয়া খেলা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশ ১১ হাজার ৮০৪ টাকা ও তিন বান্ডিল তাস জব্দ করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ওয়াসিম (৩৫), কাউছার মিয়া (৪০), আল-আমিন (৪০), নজিব মিয়া (২৫), মো. ইউসুফ (৫০), মো. ইদ্রিস খাঁ, মাহমুদ মিয়াজ আলী (২৫), রতন মিয়া (৫৫), শাহ আলম (৪৫), আল-আমিন (৩০), আ. মতিন (৪৮), মো. হাকিম (৩২), মনির (৩৫), মো. হোসেন (৪০) ও ছায়েদুল হক (২৫)। তাদেরকে গতকাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওদিকে সোমবার বিকাল বেলা নোয়াগাঁও দরগামাঠে জুয়া খেলাবস্থায় কালন, জহিরুল ও ফয়সল নামের তিন জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেন এ এস আই আলাউদ্দিন। পরে গভীর রাতে জনৈক রাজনৈতিক ব্যক্তির তদবিরে ওই তিন জুয়াড়িকে অজানা কারণে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল হক বলেন, আমি থানার বাইরে আছি। ওই তিনজনকে ছাড়ার কথা না। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের তদবিরে আমরা অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর