× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উত্তরাখণ্ডের শতাধিক গ্রামে ৩ মাসে জন্ম নেয়নি কোনো কন্যাশিশু

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
২৪ জুলাই ২০১৯, বুধবার

ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশি জেলার ১৩২টি গ্রামে ৩ মাসে কোনো কন্যাশিশুর জন্ম হয়নি। এই ৩ মাসে মোট ২১৬টি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। এদের সকলেই ছেলে। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। খবরে বলা হয়, অনেকেই বলছেন, এই গ্রামগুলোতে হয়তো লিঙ্গভিত্তিক গর্ভপাত করা হয়, অথবা কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়। উত্তরকাশির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ চৌহান বলেন, এই পরিস্থিতি বেশ সন্দেহজনক। নারী ভ্রূণ হত্যাই সম্ভবত এজন্য দায়ী। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই উপাত্ত পর্যবেক্ষণ করবো।
আগামী ছয় মাস এই সব গ্রাম বিশেষ পর্যবেক্ষণে থাকবে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটে তাহলে, স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্থানীয় প্রশাসন থেকে এই ১৩২টি গ্রাম তদন্ত ও হস্তক্ষেপের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের এসব গ্রামে অধিক মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে। দুন্দা এলাকায় এই তিন মাসে মোট ৫১টি শিশু জন্মদানের ঘটনা ঘটেছে। ভাটওয়ারিতে ৪৯, নওগাঁয় ৪৭, মোরি েত ২৯, চিনইয়ালিসরে ২৩ ও পুরোলাতে ১৭টি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। কিন্তু কোথাও কোনো কন্যা সন্তানের জন্ম হয়নি।

উত্তরাখণ্ডের জনমিতি অনুযায়ী, প্রতি ১ হাজার পুরুষের বিপরীতে ৯৬৩ জন নারী বসবাস করেন। কিন্তু উত্তরকাশি জেলায় এই হার কিছুটা কম: প্রতি ১ হাজার পুরুষের বিপরীতে এখানে ৯৫৮ জন নারী বসবাস করেন। পুরো রাজ্যে লিঙ্গ অনুপাতের দিক থেকে এই জেলার অবস্থান নবম। অথচ, ১০০ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯০১ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত এই জেলার লিঙ্গ অনুপাত নারীদের দিকে ছিল বেশি। ১৯০১ সালে প্রতি ১০১৫ জন নারীর বিপরীতে ১০০০ পুরুষ বসবাস করতেন। ১৯৩১ সাল থেকে নারী-পুরুষ অনুপাত পুরুষের দিকে ঢলে যেতে শুরু করে। গত ১০০ বছরে এই অনুপাতে নারীর সংখ্যা ৯৫৮তে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই প্রবণতা আরো বেশি।

ভারতজুড়েই কন্যাভ্রূণ হত্যার বিষয়টি আলোচিত সমস্যা। দেশটির সরকার এই প্রবণতা প্রতিরোধে ‘বেটি বাঁচাও’ নামে একটি প্রকল্পও গ্রহণ করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক উপাত্ত থেকে দেখা গেছে, ভারতে এই সমস্যা আরো বেড়েছে। ২০১৫-২০১৭ সালে এই অনুপাত ৮৯৬তে নেমে এসেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর