‘অনেক ক্রীড়াবিদই সৈনিক ভাতায় কাজ করেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপিতে। আমরা এসব ক্রীড়াবিদদের পর্যায়ক্রমে স্থায়ী চাকরির আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছি’, গতকাল আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরে পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের সংর্বধনা ও প্রাইজমানি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ। ‘ক্রীড়াবিদদের মানোন্নয়নে গাজীপুরের সফিপুরে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে অ্যাথলেটিকস টার্ফ বসছে। তৈরি করা হবে সুইমিং পুল। মোদ্দাকথা ক্রীড়াবিদদের মানোন্নয়নের জন্য আমরা সব ব্যবস্থাই করবো’- যোগ করেন তিনি।
২০১৮ সালে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাফল্য বয়ে আনা পাঁচ শতাধিক ক্রীড়াবিদদের প্রায় ৪৫ লাখ টাকার প্রাইজমানি দেয় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি। গত এক বছর ২৯টি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ক্রীড়া দল ১৬০টি স্বর্ণ, ৯৬টি রৌপ্য ও ৯০টি ব্রোঞ্জপদক জেতে। যার মধ্যে ২০টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন, পাঁচটিতে রানার্সআপ এবং একটিতে তৃতীয় ও তিনটিতে চতুর্থ স্থান ছিল।
পরিচালক (ক্রীড়া) নুরুল হাসান ফরিদী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক বছর বড় আকারে আয়োজন করে ক্রীড়াবিদদের প্রাইজমানি দিয়ে থাকি। আগামীতেও দেয়ার চেষ্টা করবো।’ ক্রীড়া অফিসার রায়হান উদ্দিন ফকির বলেন, ‘প্রাইজমানিতে উৎসাহ পান ক্রীড়াবিদরা। যার প্রমান ফি বছর আনসারের ক্রীড়াবিদদের পদক জয়। সামনেও আনসার ক্রীড়া দল সেরা পারফরম্যান্স দেখাবে আশা করি।’
জাপানের টোকিও ২০২০ অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী বাংলাদেশের অন্যতম সেরা তীরন্দাজ রোমান সানা বলেন, ‘আনসার বাহিনীতে আসার পর আমাকে সকল সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। বরং আমি তারচেয়েও বেশি পাচ্ছি। আনসারের এই অর্থ পুরস্কার আমাদের পরিবারকে সহায়তা করে। যার ফলে আমরা খেলাধূলায় মনযোগ দিতে পারি। অনেক সময় বিদেশে টুর্নামেন্ট খেলতে গেলেও আনসার আমাকে সহযোতিা করে।’ তিনি যোগ করেন, ‘অলিম্পিকের আগে ভালো স্কোর করার ইচ্ছা রয়েছে। অলিম্পিকের আগে যত খেলবো অভিজ্ঞতা তত বাড়বে।’ গৌহাটি সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বলেন, ‘সাউথ এশিয়ান গেমসের পর দু’চারটি আন্তর্জাতিক টুর্নামন্টে পদক পেয়েছি। যা মিডিয়ায় আসেনি। এসএ গেমসের পর নিজেকে যাচাই করার চেষ্টা করেছি। নেপাল এসএ গেমসের আগে যে টুর্নামেন্টগুলো পাবো তাতে ভালো করার চেষ্টা করবো। গুয়াহাটির গেমসে যেহেতু স্বর্ণপদক পেয়েছি, নেপালেও পাবো। তবে অন্য দেশের ক্রীড়াবিদদের তুলনায় আমরা সরকারী সহযোগিতা কম পাই। যার কারণে আমাদের ক্রীড়াবিদরা বেশিদূর এগুতে পারে না।’