× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অবশেষে ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই রোনালদোর

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ জুলাই ২০১৯, বুধবার

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথেরিন মায়োরগার করা ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেলেন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটর রোনালদোকে এ মামলা হতে অব্যাহতি দেন। ফলে এ মামলায় আর কোনো চার্জ হবে না রোনালদোর। কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মামলার ভুক্তভোগী মায়োরগা ২০০৯ সালে যৌন নির্যাতন হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোথায় এ ঘটনা ঘটেছে আর কে তাকে নির্যাতন করেছে সেটি বলতে পারেননি। আর রোনালদোর বিরুদ্ধে শক্তিশালী কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। ফলে পুলিশের পক্ষে পরবর্তী তদন্ত করা সম্ভব হয়নি।’
২০১৮’র আগস্টে রোনালদোর ধর্ষণের খবর প্রথম প্রকাশ করে জার্মান ম্যাগাজিন ডার স্পিগেল। মায়োরগার আইনজীবী লেসলি স্টোভালের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিগেল বলে, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের এক হোটেলে মায়োরগার সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করেন রোনালদো।
ঘটনা ধাপাচাপা দিতে ২০১০ সালে মায়োরগার সঙ্গে আদালত বহির্ভূত একটি চুক্তি করেন পর্তুগিজ তারকা। চুক্তি অনুযায়ী ওই মডেলকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধ করেন রোনালদো। তবে রোনালদো এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন এবং বলেন হোটেল কক্ষে যা হয়েছিল তা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের আগস্টে রোনালদোর নামে ধর্ষণ মামলা ঠুকে দেন ৩৪ বছর বয়সী মায়োরগা।
মামলায় বলা হয়, ২০০৯ সালের ১৩ই জুন লাস ভেগাসের পাম হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোতে সাক্ষাত হয় রোনালদোর-মায়োরগার। রোনালদো তখন কেবল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন। মায়োরগার দাবি, রোনালদোই তাকে ওই হোটেলে দাওয়াত করেন। সেখানে আরো মানুষ ছিল। এক পর্যায়ে মায়োরগা কাপড়-চোপড় পাল্টাতে বাথরুমে যান। তখন রোনালদো তার পিছু নেন এবং মায়োরগাকে ওরাল সেক্স করতে জোর করেন। মায়োরগা রাজি না হলে রোনালদো তাকে হোটেল কক্ষের একটি বেডরুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মায়োরগা তখন ‘না, না, না...’ বলে চিৎকার করছিলেন। মামলায় আরো বলা হয়, ওই ঘটনার পর মায়োরগার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন রোনালদো। মায়োরগা ব্যাপারটা পুলিশকে জানান। কিন্তু ভয়ে রোনালদোর নাম বলেননি। এরপর রোনালদোর আইনজীবীরা কোর্ট বহির্ভূত একটি চুক্তি করেন মায়োরগার সঙ্গে। চুক্তি হলো, মায়োরগা কখনো রোনালদোর নাম প্রকাশ করতে পারবেন না এবং পুরো ব্যাপারটা গোপন রাখবেন।
গত বছর যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী #মি-টু আন্দোলন শুরু হয়। এরপরই রোনালদোর বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ আনেন মায়োরগা। তার অনুরোধের ভিত্তিতে মামলা চালু করে লাস ভেগাস পুলিশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোনালদোকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারলেন না মায়োরগা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর