× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তিনদিনেও উদ্ধার হয়নি গাড়ি এবং চালক

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
২৪ জুলাই ২০১৯, বুধবার

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার সালেহপুর সেতু থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্যাক্সিক্যাব নদীতে পড়ে যাওয়ার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত গাড়ি কিংবা চালকের সন্ধান দিতে পারেনি উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনী ডুবুরী দলের সদস্যরা। তবে নিখোঁজের পরিবারের লোকজন তার মরদেহের অপেক্ষায় ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। তাদের আহাজারি এবং কান্নায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের পাশাপাশি তারাও নিজ উদ্যোগে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এবার নৌবাহিনীর ডুবুরিরা গাড়িটি এবং চালকে উদ্ধারের জন্য দুটি স্ক্যানার দিয়ে তল্লাশি শুরু করেছেন। এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাভার থেকে ঢাকাগামী একটি হলুদ রঙের ট্যাক্সিক্যাব ঢাকা আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার সালেহপুর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি দ্রুত গতিতে তুরাগ নদে ছিটকে পড়ে যায়। সেতুর কাছেই মহাসড়কের বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধাহরণকৃত ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ও ৭ সদস্যের একদল ডুবুরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়।
এসময় সনাতন পদ্ধতিতে অ্যাঙ্কর ফেলে গাড়ির অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চালান তারা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার হলেও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কোনো ফল না পাওয়ায় তাদের পাশাপাশি নৌবাহিনীর ১৩ সদস্যদের একটি দল অক্সিজেন নিয়ে পানির তলদেশে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
তারাও টানা চেষ্টা চালিয়ে গাড়িটির সন্ধান দিতে না পারায় উত্তেজিত হয়ে উঠে স্থানীয় জনতা। এঘটনায় স্থানীয় অনেকেই নিজেরা বাঁশ ও নৌকা নিয়ে প্রচণ্ড স্রোতের মধ্যেই নিখোঁজ গাড়ি ও চালকের সন্ধানে নদীতে নেমে যায়। এদিকে দুপুর থেকে গাড়িটি খুঁজে পেতে নৌবাহিনীর লে. সিরাজুস সালেকিনের নেতৃত্বে সাইট টোনার স্ক্যানার মেশিন দিয়ে নদীর প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে স্ক্যান করে যাচ্ছে। জানতে চাইলে নৌবাহিনীর চিফ পেটি অফিসার ডুবুরি কবির হোসেন জানান, দুপুর ২টা থেকে নিখোঁজ ট্যাক্সিক্যাব ও চালকের সন্ধানে সাইট স্ক্যানার টোনার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানেই গাড়ির আছে অবস্থান পাওয়া যাবে, সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করে ডুবুরি নামানো হবে। আপাতত এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় সন্ধান শুরু করা হলেও প্রয়োজনে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আয়তন বাড়ানো হবে। তবে আশা করছি খুব দ্রুতই আমরা আপনাদের ভালো কোনো সংবাদ দিতে পারবো। অন্যদিকে প্রাথমিকভাবে চালক ও গাড়িটির মালিকানা পরিচয় পাওয়া গেছে। আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট পরিচালিত ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের এক্সিও ২০১২ মডেলের ডুবে যাওয়া গাড়িটির চালকের নাম জিয়াউর রহমান। নিখোঁজের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জিয়াউর রহমানের ছোট দুটি মেয়ে আছে। ঘটনা শোনার পর থেকে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। তিনি বলেন, এখন একটাই আশা, অন্তত জিয়াউর রহমানের লাশটা যেন দ্রুত সময়ে ফিরে পাই।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সেরে উপসহকারী পরিচালক মোস্তফা মহাসিন বলেন, তুরাগ নদীতে পড়ে যাওয়া ট্যাক্সি ক্যাবটি উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে ডুবুরিরা সন্ধান করে যাচ্ছে।
   
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর