ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশজুড়ে জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা ঘোষণা করেছে। এ বছর দেশটিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে এডিস মশাবাহিত এই রোগটি। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৫ শতাধিক মানুষ মারা গেছে ডেঙ্গু জ্বরে। এ খবর দিয়েছে সিএনএন। খবরে বলা হয়, বছরের প্রথম অর্ধেই ফিলিপাইনে লক্ষাধিক মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এটি গত বছরের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি। এরইমধ্যে দেশটির ৪টি প্রদেশে একে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রদেশগুলো হচ্ছে, মিমারোপা, পশ্চিম ভিসায়াস, মধ্য ভিসায়াস ও উত্তর মিন্দানাও।
এসব অঞ্চলে প্রায় ২ কোটি মানুষ বসবাস করে যা ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। এ ছাড়া, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের প্রদেশ দাভাওতেও ডেঙ্গু মহামারি রূপ নেয়ার ঝুঁকিতে আছে।
প্রতিবছর গড়ে বিশ্বে প্রায় ৫ লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, এরমধ্যে মারা যায় সাড়ে বারো হাজারের মতো। এটি ক্রান্তীয় অঞ্চলে বেশি হতে দেখা যায়। তবে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার সব থেকে বেশি ভারত, ফিলিপাইন ও ব্রাজিলে। সামপ্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণ। জলবায়ুর এ বিশাল পরিবর্তনের ফলেই মশারা ডেঙ্গুর মতো চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফেভার ও জিকার মতো ভয়াবহ রোগ বহন করতে পারছে। এবং ক্রমাগত যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও জাপানে এসব রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধের জন্য সবার আগে প্রয়োজন এই মশার জন্মস্থল ধ্বংস। এ ছাড়া, লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শও দিচ্ছে তারা।