ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে ঢাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ভিড় বেড়েছে। জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা করতে সবাই ছুটছেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ডেঙ্গু টেস্ট করতে আসছেন অনেকে। আইসিডিডিআর,বি’, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাব সাইন্স ডায়াগনস্টিকস লিমিটেড সরজমিন পরিদর্শন করে এমন চিত্র দেখা গেছে। সোমবার সকালে মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, শিশু ও মধ্যবয়সী কয়েকজন ডেঙ্গু সনাক্তের পরীক্ষা করতে এসেছেন। বিষয়টি জরুরি একথাও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মীদের জানিয়ে দিচ্ছেন।

মডার্ণ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন এখানে ৪০ থেকে ৫০ জন ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত করার টেস্ট করতে আসছেন। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালটি প্রায় পাঁচ শতাধিক ডেঙ্গু সনাক্তের টেস্ট করেছেন। ধানমন্ডির মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, এখন জ্বর হলেই মানুষ ডেঙ্গু টেস্ট করাতে আসছেন। এটা ভাল। কারণ কে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত আর কে আক্রান্ত না এটা টেস্ট না করলে বলা যাবে না। আমরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেঙ্গু সনাক্ত করছি। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়া ডিজিজ রিসার্চ (আইসিডিডিআরবি)- এ শনিবার গিয়ে দেখা যায় সেখানে রোগীদের ভিড়। ডেঙ্গু সনাক্তের টেস্ট করতে আসা সোলেমান মানবজমিনকে বলেন, আমি রায়ের বাজারে থাকি। মুদি দোকানে কাজ করছি। দুই দিন ধরে অনেক বেশি জ্বর। সবাই বলল কলেরা হাসপাতালে টেস্ট ভাল।

তাই এখানে চলে আসলাম। আইসিডিডিআরবি’র মিডিয়া ম্যানেজার একেএম তারিফুল ইসলাম খান মানবজমিনকে বলেন, বর্তমানে আইসিসিডিআরবিতে ২৪ ঘন্টা সেবা চালু করা হয়েছে। আমাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন নেই। মানুষের সেবা আরও সহজ করেছি আমরা। যে কোন সময় এসে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নিতে পারবেন। ঢাকার গ্রিনরোডে ল্যাব সাইন্স ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, এ প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিনি ৩০ থেকে ৪০ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করার জন্য টেস্ট করতে আসছেন। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছেই। ল্যাব সাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, ডেঙ্গু রোগী সনাক্তের রক্ত পরীক্ষায় আমরা সাবধানতা অবলম্বন করি। জরুরি ভিত্তিতে এ টেস্ট করার দরকার হলে আমরা সাপোর্ট দিয়ে থাকি।