× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরকারি অনুদানের বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন চার নির্মাতা

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ জুলাই ২০১৯, বুধবার

চলতি বছর অনুদান নীতিমালা লঙ্ঘন করে তিনটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোট ১৪টি চলচ্চিত্রের অনুদানের ঘোষণা স্থগিত ও জমাকৃত সকল চলচ্চিত্র নির্মাণ প্যাকেজ প্রস্তাব পুনঃনিরীক্ষণের জন্য উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন চার নির্মাতা। গত ১৬ই জুলাই উচ্চ আদালতে তারা এ রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন এ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান জন্য আবেদনকারী চলচ্চিত্র গবেষক ও লেখক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের জন্য আবেদনকারী অদ্রি হৃদয়েশ ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সুপিন বর্মণ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন। এরমধ্যে খন্দকার সুমন গতকাল জানান, আমরা লক্ষ্য করেছি ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের চলচ্চিত্রে অনুদান প্রদানে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ সকল সীমা ছাড়িয়েছে। আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও প্রাপ্ত নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে অনুদান প্রদানের প্রক্রিয়ায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান প্রদান নীতিমালা এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান প্রদান নীতিমালার বহু নিয়ম লঙ্ঘন করে এ বছর ৩টি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোট ১৪টি চলচ্চিত্রকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই যথার্থ নয় বলে আমরা মনে করি। তিনি আরও বলেন, আমরা আদালতে আমাদের যাবতীয় তথ্য-বিশ্লেষণ ও গণমাধ্যমের নানা প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছি। আশা করছি, আদালত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবেন।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম। রিট আবেদনটির ফাইল নম্বর ৭৭৩৪/২০১৯। আগামী রোববার (২৮ জুলাই) এনেক্স ভবনের ২৫ নম্বর  কোর্টে এর শুনানি হবে বলে জানা যায়। গত ২৮ শে এপ্রিল চলতি অর্থ বছরে চলচ্চিত্রের জন্য সরকারি অনুদান দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কিছু গড় মিল হয়েছে বলে উল্লেখ করে পদত্যাগ করেন চূড়ান্ত অনুদান কমিটির চার সদস্য মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মোরশেদুল ইসলাম ও ড. মতিন রহমান। তবে পরবর্তীতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিতে পুনরায় যোগ দেন তারা। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের অনুদান পেয়েছে ‘খিজির পুরের মেসি’ ছবির জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি। জাহিদ সুলতান এবং নাসির উদ্দিন পরিচালিত ‘মিঠুর একাত্তর যাত্রা’। ‘রুপালী কথা’র জন্য নাজমুল হাসান। ফারাশাত রিজওয়ানের ‘শেকল ভাঙার গান’ এবং ‘ময়না’ ছবির জন্য উজ্জ্বল কুমার মন্ডল। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘রাত জাগা ফুল’ ছবির জন্য মীর সাব্বির। আকরাম খানের ‘বিধবাদের কথা’, হোসনে মোবারক রুমির ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ ছবির জন্য হৃদি হক, আর কবরী ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবির জন্য পেয়েছেন সরকারি অনুদান। এছাড়াও প্রামাণ্যচিত্র শাখায় হুমায়রা বিলকিস তার ‘বিলকিস এবং বিলকিস’ এবং পূরবী মতিন তার ‘মেলাঘর’ প্রামাণ্যচিত্রের জন্য পেয়েছেন সরকারি অনুদান। শিশুতোষ শাখায় আবু রায়হান মোহাম্মদ জুয়েল সরকারি অনুদান পেয়েছেন ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’ ছবির জন্য।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর