× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লাইব্রেরিতেও মাদকের থাবা!

ষোলো আনা

আল রাউফ
২৫ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার

‘সাহিত্য চর্চার জন্য চাই লাইব্রেরি। এদেশে লাইব্রেরির সার্থকতা হাসপাতালের চেয়ে কিছু কম নয় এবং স্কুল-কলেজের চেয়ে কিছু বেশি।’ বিশিষ্ট লেখক প্রমথ চৌধুরী এমনিভাবে লাইব্রেরির গুরুত্বারোপ করেন। একটা সময় ছিল লাইব্রেরিতে জ্ঞানপিপাসুদের ভিড় লেগেই থাকতো। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কমেছে সেই পিপাসা। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় কমেছে বই পড়ার আগ্রহ। সেই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়ছে জ্ঞানচর্চার রসায়নাগার লাইব্রেরিগুলো। গাজীপুর সদরের অদূরে ছোট্ট গ্রাম কুনিয়া। এই ছোট্ট গ্রামের মানুষদের জ্ঞান পিপাসা পূরণের লক্ষ্যে মির্জা শফিক নামে এক ব্যক্তির প্রচেষ্টায় গড়ে উঠে ‘কুনিয়া আদর্শ উন্মুক্ত পাঠাগার’।
লাইব্রেরিটি স্থাপিত হয় ২০১১ সালে। লাইব্রেরিটি ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। দু’পাশে বড় বড় বইয়ের তাক। তাতে ছিল নানা বইয়ের সমাহার। ছোট টেবিল ঘিরে রাখা ছিল চেয়ার। এখানে বসেই পড়তেন পাঠকরা।
 
ধীরে ধীরে জৌলুস হারাতে থাকে লাইব্রেরিটি। প্রথমে লাইব্রেরির পাশে মাদকের আড্ডা বসা শুরু হয়। এরপর সেই মাদকের আড্ডা বসে লাইব্রেরির ভেতর। বইয়ের তাকে পড়তে থাকে ধুলোর আস্তরণ। অল্প কিছু বইয়ের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় শেষ পর্যন্ত। এই অবস্থা দেখে এলাকাবাসী ২০১৩ সালে তালাবদ্ধ করে দেন লাইব্রেরিটি। আর এখন লাইব্রেরির সামনে ময়লার স্তূপ। পেছনে চলে মাদকের আসর। জানালা দিয়ে তাকালে দেখা যায় কিছু বই এখনো আছে। ভেতরে জমে আছে পানি। তাতে ভাসছে কিছু কাগজের টুকরা আর অজস্র ময়লা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর