× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বা স্থ্য ক থা /মানসিক রোগে লজ্জা নয়, চাই চিকিৎসা

ষোলো আনা

ফারহানা হক বৈশাখী, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট
২ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার

বর্তমান বিশ্বে উল্লেখযোগ্য রোগগুলোর মধ্যে মানসিক রোগ অন্যতম। ডয়েচে ভেলের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে ৪ জন ব্যক্তির মধ্যে গড়ে ১ জন করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৯.১ শতাংশ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত।

মানসিক অসুস্থতা বা মানসিক রোগ সাধারণত একজন ব্যক্তির আচরণ, অনুভূতি, বা চিন্তা-ভাবনার সমন্বয় দ্বারা প্রকাশ পেয়ে থাকে। মানসিক রোগ হয়ে থাকে সাধারণত কোনো দুর্ঘটনা বা মানসিক আঘাত, পারিবারিক ইতিহাসের কারণে।

এসবের ফলে মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। ফলে দেখা দেয় বিষণ্নতা, উদ্বেগ, সিজোফ্রেনিয়া, মুড ডিসঅর্ডার, পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার, ডিমেনশিয়া ও মাদকাসক্ত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব রোগে অনেকেই চিকিৎসা নিতে লজ্জা পান।
কারণ ভাবেন এই চিকিৎসা নিলে মানুষ পাগল বলবে। কিন্তু এই রোগে চিকিৎসা নেয়া খুবই জরুরি। তা না হলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে রোগটি।

মানসিক সমস্যা রোগী এবং রোগীর পরিবারকে চিন্তাগ্রস্ত করে তোলে। যা স্বাভাবিক জীবনযাপনকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করে। মানসিক সমস্যার সফল চিকিৎসার জন্য সাইকিয়াট্রিস্ট, সাইকোলজিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, কাউন্সিলররা কাজ করে থাকেন।

মানসিক রোগীর চিকিৎসায় অকুপেশনাল থেরাপি একটি অনন্য চিকিৎসা সেবা। একজন অকুপেশনাল থেরাপিস্ট মানসিক রোগীর বয়স, সামাজিক অবস্থা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাস বিবেচনা করে রোগীকে তার সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী দৈনন্দিন কাজে অংশগ্রহণে সাহায্য করে থাকেন।

মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত অলীক কল্পনার জগতে থাকেন, অমনোযোগী হন এবং অস্বাভাবিক আচরণ করেন যা তার দৈনন্দিন কাজে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেয়। অকুপেশনাল থেরাপিস্ট রোগীর সঙ্গে থেকে দৈনন্দিন কাজে অংশগ্রহণ করানোর অনুশীলন করিয়ে থাকেন। যেমন, নিজের যত্ন নেয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, পড়াশুনা করা, গৃহস্থালির কাজ অথবা বাইরের কাজ সম্পাদন করা ইত্যাদি।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। এর ফলে সামাজিক সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্ক, বন্ধুত্ব এবং পরিবারে নিজের ভূমিকা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। যা আরো বিষণ্নতা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে অকুপেশনাল থেরাপিস্ট ইন্ডিভিজ্যুয়াল থেরাপি অথবা গ্রুপ থেরাপির মাধ্যমে সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ও সামাজিক কাজে অংশগ্রহণে সহায়তা প্রদান করে থাকে। এ ছাড়াও অকুপেশনাল থেরাপিস্ট রোগীর পরিবারের সদস্যদের উদ্বেগ দূরীকরণে সদস্যদের নিজের পরিচর্যা ও সহায়তা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে থাকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর