এক বৃদ্ধ বিক্রেতা ফুটপাথে ঝুড়িতে ৫/৬টা পেঁপে নিয়ে বসে আছেন। শরীরে জীর্ণ পোশাক। বয়সের ভারে কাবু।
পচা পেঁপে বলায় উত্তরে বলেন, পচা না বাপ। ভেতরে ভাল। খেয়ে দেখেন। পচা হলে দাম দিয়েন না বাপজান।
দু’টা পেঁপে মাত্র দশ-দশ বিশ টাকায় নিলাম।
খেয়াল করলাম লোকটার এক চোখ নষ্ট। চোখটা মিশেই গেছে একদম। বাঁ পাশের চোখটা দিয়ে কোনোরকম আবছা দেখেন।
বিশ টাকার একটা নোট হলেও বেশ সময় নিয়ে টাকাটা দেখে নিলেন। ঠিক তখনই বৃষ্টি এলো। সবার তাড়াহুড়ো লেগে যায়। তবে তিনি সেখানেই আঁটোসাঁটো হয়ে বসে রইলেন। ঝড়, বৃষ্টি, রোদ তার গা সওয়া হয়ে গেছে।
ঢাকার নিত্যদিনের সঙ্গী যানজট পাড়ি দিয়ে বাসায় ফিরলাম। ফিরে টেলিভিশনের সামনে বসলাম। খবর শুনছি। এক কর্মকর্তার ঘুষের খবর।
আহারে! যে কর্তার সুঠাম দেহ। আছে ক্ষমতা। অনেক টাকা বেতন পান। তারপরেও ঘুষ দিয়ে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। ভালো দু’টা চোখ আর যোগ্যতা থাকলেও তিনি অন্ধ।
আর ওদিকে আল্লাহ্র দান দু’টা চোখের একটায় আলো নেই। আরেকটা প্রায় আবছা। তারপরও তিনি বৃদ্ধ বয়সে ফুটপাথে বসে হালাল উপার্জন করছেন। এমনকি করছেন না ভিক্ষাবৃত্তিও। অন্যায়তো দূরের কথা।