× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এবার ৩৭১ ধারা নিয়ে আতঙ্ক উত্তরপূর্ব ভারতে

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) আগস্ট ৬, ২০১৯, মঙ্গলবার, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

কাশ্মীরিদের জন্য রক্ষাকবচ সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ  ধারা এক ঝটকায় বিলুপ্ত করে দেওয়ার পর সংবিধানের ৩৭১ ধারা নিয়ে উত্তরপূর্ব ভারতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। দেশটির এই অংশে সংবিধানের ৩৭১এ ও ৩৭১জি ধারা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সংরক্ষণের সুবিধা পান ভূমিপুত্ররা। এমনকি পার্বত্য এলাকায় জনজাতিদের জমির উপরে ও নীচে থাকা অরণ্য বা খনিজ সম্পদের উপরেও অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত অধিকার স্বীকৃত। দিতে হয় না কোন করও। ভারতীয় সংবিধানের ধর্মীয়, সামাজিক কোনও ধারাই উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির অনেক কটিতেই  কার্যকর নয়। দেশীয় আইন, ঐতিহ্য অনুযায়ী অনেক কিছু নিয়ন্ত্রিত হয়। সম্পত্তি ও জমির হস্তান্তরও নিজস্ব নিয়মে চলে। সংবিধানের ৩৬৮ ধারার ভিত্তিতে ৩৭১ নম্বর ধারায় ন’টি রাজ্যকে বেশ কিছু বিশেষ সুবিধা ও অধিকার দেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও অন্ধ্রপ্রদেশও রয়েছে সেই তালিকায়। ৩৭১বি ধারায় রয়েছে আসামের কথা। ওই ধারায় বর্ণিত অধিকার বলে রাজ্যপালকে আসামের জনজাতি এলাকার প্রতিনিধিদের নিয়ে বিধানসভার কমিটি গঠনের অধিকার দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এ ছাড়াও আছে ২৪৪এ ধারা। ১৯৬৯ সালে যোগ করা এই ধারা অনুযায়ী, আসামকে স্বশাসিত পরিষদ গঠনের বিশেষ অধিকার দেওয়া রয়েছে। ৩৭১ডি ও ই ধারায় অন্ধ্রপ্রদেশে শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণ-সহ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির হাতে।  আবার অরুণাচল প্রদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ অধিকার দেওয়া রয়েছে রাজ্যপালকে। তিনি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত উল্টে দিতে পারেন ৩৭১এইচ ধারার ভিত্তিতে। স্বাভাবিকভাবেই কাশ্মীরের জন্য ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বিলোপ ঘোষণার পর উত্তরপূর্ব ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। মিজোরামের সাবেক  মুখ্যমন্ত্রী ও  কংগ্রেস নেতা  লালথানহাওলা ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রেক্ষিতে বলেছেন, এই ঘটনা মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যের পক্ষে আতঙ্কের। কংগ্রেস মুখপাত্র লাল লিয়াংচুঙ্গা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ৩৭১এ ধারায় হাত পড়লে রুখে দাঁড়াবে মিজোরা। নিজেদের অধিকার রক্ষায় আমরা আত্মবলিদানেও প্রস্তুত।  নাগাল্যান্ডের বৃহত্তম জনজাতি মঞ্চ নাগা হো হো-র সভাপতি চুবা ওঝুকুমের ৩৭০ ধারা নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, আমরাও অধিকার হারানোর আশঙ্কায় ভুগছি। ভারত-নাগা শান্তি আলোচনা চলাকালীন কেন্দ্র নাগাদের অধিকারে হাত দিলে ফল খারাপ হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর