শেষের পাতা
সিলেটে স্থানীয়ভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
২০১৯-০৮-০৮
সিলেটে এবার স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে জনগণ। ইতিমধ্যে সিলেটে ভর্তি কয়েক জন রোগী মিলেছে যাদের অতীতে অন্য কোথাও ভ্রমণের কোনো হিস্ট্রি নেই। এ কারণে ঢাকা কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে ফেরত রোগীদের সংখ্যা কমে আসার পর আবার স্থানীয় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এজন্য সিলেটে ভয়াবহ আকারে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালের চারটি ডেঙ্গু কর্নারে ভর্তি ছিলেন ৫২ জন রোগী। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ২১। সরকারি হাসপাতালে রোগী বাড়লেও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী কমছে। তবে- আসন্ন ঈদ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কমতি নেই। ঢাকা থেকে ঈদ করতে বিপুল সংখ্যক লোক আসবে সিলেটে। তারা অনেকেই ডেঙ্গু বহন করে নিয়ে আসতে পারেন।
ফলে সিলেটে ঈদের ছুটিতে বেড়ে যেতে পারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। আবার যারা সিলেট থেকে ছুটিতে বাড়ি যাবেন তারাও আক্রান্ত হয়ে সিলেটে আসতে পারেন। ফলে ঈদ-পরবর্তী সময়েও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- সিলেটে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪১ জন। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। আর বাড়তে থাকায় টেনশনও রয়েছে। তবে- ঈদের জন্য বাড়তি প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে- সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আগে পাওয়া গিয়েছিল এডিস মশার লার্ভা ও এডিস মশা। জেলা বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ সুরমা এলাকা মশা নিধনের জন্য কম্পিং অপারেশন চালানো হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন- নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকায় তারা দুই দিন মশক নিধন অভিযান চালিয়েছেন। যেসব এলাকায় ডেঙ্গু মশার উপস্থিতি রয়েছে সেসব এলাকায় লার্ভা ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। একই সঙ্গে চালানো হচ্ছে জনসচেতনতা কার্যক্রম। এদিকে- সিলেটের কেবল দক্ষিণ সুরমায় নগরীর আরো বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার লার্ভা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এসব লার্ভা থেকে এডিস মশার জন্ম হচ্ছে। সিলেট নগরীর সদর হাসপাতালের পাশেও এডিস মশার অস্তিত্ব মিলেছে। এ কারণে সিলেটে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়েল কলেজ এলাকার স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া- হবিগঞ্জের বানিয়াচং, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়ে রোগী এসে ভর্তি হচ্ছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে- সিলেট ওসমানী মেডিকেলে এ পর্যন্ত অন্তত দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। তবে- বাড়ি ফেরার পরও ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে রোগী ভর্তি গড় ছিল ৩৫-৪০ জন। কিংবা গতকাল সেটি অর্ধশতক ছাড়িয়েছে।
তারা হাসপাতালের আউটডোর কিংবা বাইরে থেকে রোগ নির্ণয়ের পর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি কর্নারে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবু কামরান রাহুল জানিয়েছেন- ওসমানী হাসপাতালে আমরা ডেঙ্গু রোগীদের বিশেষ চিকিৎসা দিচ্ছি। কোনো গাফলাতি হচ্ছে না। এ কারণে কোনো রোগী মারা যায় নি। বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র ডাক্তাররাও রোগীদের বেলায় আন্তরিক। তিনি বলেন- ঈদের ছুটিতেও একই ভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হবে। বেশি রোগী এলেও প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান তিনি। সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন- ঈদের জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। প্রচুর মানুষ ঢাকা কিংবা অন্য জায়গা থেকে আসবেন। তারা অনেকেই আক্রান্ত হয়ে আসতে পারেন আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য ছুটিকালীন সময়েও বিনামূল্যে যাতে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা পান সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ফলে সিলেটে ঈদের ছুটিতে বেড়ে যেতে পারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। আবার যারা সিলেট থেকে ছুটিতে বাড়ি যাবেন তারাও আক্রান্ত হয়ে সিলেটে আসতে পারেন। ফলে ঈদ-পরবর্তী সময়েও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- সিলেটে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪১ জন। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। আর বাড়তে থাকায় টেনশনও রয়েছে। তবে- ঈদের জন্য বাড়তি প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে- সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আগে পাওয়া গিয়েছিল এডিস মশার লার্ভা ও এডিস মশা। জেলা বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ সুরমা এলাকা মশা নিধনের জন্য কম্পিং অপারেশন চালানো হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন- নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকায় তারা দুই দিন মশক নিধন অভিযান চালিয়েছেন। যেসব এলাকায় ডেঙ্গু মশার উপস্থিতি রয়েছে সেসব এলাকায় লার্ভা ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। একই সঙ্গে চালানো হচ্ছে জনসচেতনতা কার্যক্রম। এদিকে- সিলেটের কেবল দক্ষিণ সুরমায় নগরীর আরো বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার লার্ভা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এসব লার্ভা থেকে এডিস মশার জন্ম হচ্ছে। সিলেট নগরীর সদর হাসপাতালের পাশেও এডিস মশার অস্তিত্ব মিলেছে। এ কারণে সিলেটে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার নুরজাহান মেমোরিয়েল কলেজ এলাকার স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক রোগী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া- হবিগঞ্জের বানিয়াচং, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়ে রোগী এসে ভর্তি হচ্ছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে- সিলেট ওসমানী মেডিকেলে এ পর্যন্ত অন্তত দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। তবে- বাড়ি ফেরার পরও ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে রোগী ভর্তি গড় ছিল ৩৫-৪০ জন। কিংবা গতকাল সেটি অর্ধশতক ছাড়িয়েছে।
তারা হাসপাতালের আউটডোর কিংবা বাইরে থেকে রোগ নির্ণয়ের পর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি কর্নারে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবু কামরান রাহুল জানিয়েছেন- ওসমানী হাসপাতালে আমরা ডেঙ্গু রোগীদের বিশেষ চিকিৎসা দিচ্ছি। কোনো গাফলাতি হচ্ছে না। এ কারণে কোনো রোগী মারা যায় নি। বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র ডাক্তাররাও রোগীদের বেলায় আন্তরিক। তিনি বলেন- ঈদের ছুটিতেও একই ভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হবে। বেশি রোগী এলেও প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান তিনি। সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন- ঈদের জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। প্রচুর মানুষ ঢাকা কিংবা অন্য জায়গা থেকে আসবেন। তারা অনেকেই আক্রান্ত হয়ে আসতে পারেন আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য ছুটিকালীন সময়েও বিনামূল্যে যাতে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা পান সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।