× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হারসির কষ্ট

ষোলো আনা

নাজিরুল ইসলাম মামুন
৯ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার

দিন যায়। নতুন দিন আসে। ব্যস্ত জীবনের ডায়েরিতে লেখা হয় নতুন গল্প। চলমান জীবনের ছকে কিছু মানুষের অনুভূতি চাপা পড়ে রয়। বাংলাদেশে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনুভূতিগুলোও তেমন। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরই পরিবার-পরিজন ছাড়াই ঈদ করতে হয়।

আব্দুল আজিজ আহমেদ হারসি। তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। দেশ সোমালিয়া।
নিজ দেশের বাইরে এটি হারসির ষষ্ঠ ঈদ। কত রঙিন হয় উৎসবের আয়োজনগুলো? আজিজ বলেন, ঈদের দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে আমার। ইচ্ছা করে বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে ঈদ করি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পর সবার বাড়ি ফেরা দেখে আমারও ইচ্ছা করেছিল দেশে যেতে। কিন্তু পেশা, সময় ও পড়াশোনার জন্য যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। খুবই কষ্ট লাগে ঈদের এই সময়টায়।

উচ্চশিক্ষা ও স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আসেন হারসি। বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি সোমালিয়ান ‘বুলসো’ টেলিভিশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ঈদের দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, এখন আর কোনো বিশেষ দিন মনে হয় না। নেই তেমন কোনো পরিকল্পনা। কারণ দেশের বাইরে লেখাপড়া করায় পরিবার-পরিজন ছাড়াই ঈদ পালন করতে হয়। তবে ঈদের দিন স্মৃতিগুলো বারবার মনকে নাড়া দেয়। মায়ের হাতের বিশেষ রান্না। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো।

তবে ঈদের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করবেন। এরপর বেরিয়ে পড়বেন সংবাদ সংগ্রহের কাজে।

হারসি ঈদে বাড়ি যেতে না পারার আক্ষেপের সঙ্গে মহামারি আকার ধারণ করা ডেঙ্গু নিয়ে বেশ আতঙ্কিত। সব সময় সচেতন থাকার চেষ্টা করেন মশার কামড় থেকে বাঁচতে। এছাড়া কিছুদিন আগে ডেঙ্গু প্রতিরোধী জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযানেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর