শেষের পাতা
৭ নদীর পানি ব্যবস্থাপনা
যৌথভাবে স্টাডি করবে বাংলাদেশ-ভারত
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২০১৯-০৮-০৯
তিস্তাসহ ৭টি নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে স্টাডি করবে। আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই স্টাডি গ্রুপের কর্মপরিধি ঠিক করতে দুই পক্ষের দু’জন করে প্রতিনিধি নিয়ে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। একই সঙ্গে গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পের প্রতিকূল প্রভাব খতিয়ে দেখতে ঢাকা ও দিল্লির প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রায় ৮ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত পানি সম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সকাল থেকে নৈশভোজ অবধি চলা ওই বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তগুলোর কথা জানানো হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। আর ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সফররত দেশটির পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব উপেন্দ্র সিং। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের পানি সম্পদ সচিব বলেন, ওই ৭টি নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় যে স্টাডি গ্রুপ গঠনের বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন তার টার্মস অব রেফারেন্স বা টিওআর ঠিক করতে উভয় দেশের ৪জন কর্মকর্তা ফের বৈঠক করবেন। তারাই সব ঠিক করবেন। ৭টি নদীর পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তারা এক সঙ্গে স্টাডি করবেন নাকী আলাদা আলাদা করবেন সেটি বলার সময় এখনও আসেনি। আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যাচ্ছেন। ওই সময়ের মধ্যে বহুল আলোচিত তিস্তার পানি বন্টনে অন্তবর্তীকালীণ চুক্তি হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কি-না? এমন প্রশ্নে সরাসরি জবাব পাওয়া যায়নি। তবে তিস্তাসহ ৭টি নদীর পানি বন্টন বা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নব গঠিত কমিটি যে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে তার রেজাল্ট বা ফল পাওয়া এবং তিস্তার পানি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে আলোচনা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তিতে উপনীত হওয়া যে কঠিন সেটি ২৫ মিনিটের ব্রিফিংয়ে বেশ ভালভাবেই বুঝানোর চেষ্টা করেন দিল্লির পানি সম্পদ সচিব। তিনি তার ব্রিফিংয়ে এটাও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন ভারতের নিজেদেরই পানি পাপ্তি এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশাল সংকট রয়েছে। মোদি সরকার সেই সংকট উত্তরণে ক্যাম্পেইনসহ নানা রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। দিনভর অনুষ্ঠিত বৈঠকেও এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। বৈঠক সূত্র বলছে, সেখানে তারা উভয় দেশের জনগণের চাহিদা অনুযায়ী পানি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে কিভাবে পরস্পর পরস্পরককে সহযোগিতা করতে পারে তা নিয়েই আলোচনা করেছেন। সেখানে কেবল মাত্র তিস্তা বা বিশেষত তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি তাদের ফোকাসে ছিল না। কিংবা প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে ঝুলে থাকা তিন্তা চুক্তির অগ্রগতি পর্যালোচনা ওই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল না। বরং মোটাদাগে অভিন্ন নদীগুলোর পানির সুষম বন্টন ও ব্যবস্থাপনাতেই তাদের জোর ছিল। বৈঠক অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ৮ বছর পর তারা খোলামেলা বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেছেন। এতে উভয়ে সন্তুষ্ঠ বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১০ই জানুয়ারিতে ঢাকায় এবং ২০১১ সালের ৬ই জুন নয়াদিল্লিতে সর্বশেষ বাংলাদেশ-ভারত পানি সম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে ২০১০ সালের মার্চে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশন (জেসিসি)-এর ৫ম বৈঠক গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকের সাইড লাইনে বাংলাদেশের পানি সম্পদ সচিব ভারতের পানি সম্পদ সচিবকে দু’ দেশের পান সম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক পুনরায় শুরু করার অনুরোধ জানালে তাতে ইতিবাচক সম্মতি মেলে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ ভারতের পানি সম্পদ সচিবকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান এবং ধারাবাহিক আলোচনার অগ্রগতিতে ঢাকায় দু’দেশের পানি সম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১০ই জানুয়ারিতে ঢাকায় এবং ২০১১ সালের ৬ই জুন নয়াদিল্লিতে সর্বশেষ বাংলাদেশ-ভারত পানি সম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে ২০১০ সালের মার্চে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশন (জেসিসি)-এর ৫ম বৈঠক গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকের সাইড লাইনে বাংলাদেশের পানি সম্পদ সচিব ভারতের পানি সম্পদ সচিবকে দু’ দেশের পান সম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক পুনরায় শুরু করার অনুরোধ জানালে তাতে ইতিবাচক সম্মতি মেলে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ ভারতের পানি সম্পদ সচিবকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান এবং ধারাবাহিক আলোচনার অগ্রগতিতে ঢাকায় দু’দেশের পানি সম্পদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।