× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদি / কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষ বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৪ বছর আগে) আগস্ট ৯, ২০১৯, শুক্রবার, ১২:১১ অপরাহ্ন

ভারত সরকারের সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বিলোপ এবং জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখন্ডিত করে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার মানুষের মনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তাকে প্রশমিত করতেই কাশ্মীরবাসীকে আশ্বস্ত করে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহষ্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমার পুরো বিশ্বাস, এই নতুন ব্যবস্থায় আমরা সবাই মিলে জম্মু-কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে পারব।

তিনি বলেছেন, ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ, পরিবারবাদ ছাড়া আর কিছু হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ধারা থাকার ফলে বিচ্ছিন্নতাবাদ বেড়েছে।  মোদি অভিযোগ করেছেন, কিছু লোকের প্ররোচনায় এবং পাকিস্তানের উস্কানিতে কেন্দ্রের এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের অন্য রূপ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এতদিন বিশেষ মর্যাদার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাস ছড়াতে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে পাকিস্তান অস্র হিসেবে ব্যবহার করত। এবার তার অবসান ঘটবে বলে তিনি দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জোরের সঙ্গে বলেছেন, নতুন ব্যবস্থার ফলে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। নতুন ব্যবস্থাপনায় জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ বহু সুবিধা পাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষ দীর্ঘদিন যে বঞ্চনার  মধ্যে ছিলেন, তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মোদি তার ভাষণের দীর্ঘ অংশ জুড়ে কীভাবে সেখানকার মানুষ বঞ্চনার শিকার হয়েছেন, সুযোগ সুবিধার সুফল পান নি তা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের অন্যান্য প্রান্তের নাগরিকরা যে সমস্ত সরকারি প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন, তার কোনও কিছুরই অংশ জোটেনি জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের মানুষের বরাতে। উদাহরণ দিতে তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী কল্যাণ, কর্মসংস্থান, সরকারি কর্মীদের জন্য কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এবং দেশের অন্যান্য প্রান্তের বাসিন্দারা তার সুবিধা পেলেও জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখবাসী তা থেকে বঞ্চিত ছিলেন বলে মনে করিয়ে দেন। তাঁর আশ্বাস, সে সবেরই আস্বাদ নিতে পারবেন এবার উপত্যকার মানুষ।

জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের মানুষকে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি। বলেছেন, স্থানীয় যুবকদের চাকরির জন্য সরকার উদ্যোগ নেবে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এখানকার যুবকদের চাকরির বন্দোবস্ত করার জন্য বলা হবে। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষই যে ক্ষমতার ভাগিদার হবেন সেকথা জানিয়ে বলেছেন, আমি মানি না, দীর্ঘদিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে চালু রাখার প্রয়োজন হবে। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,  আপনাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার খুব শীঘ্রই প্রতিষ্ঠিত হবে। জম্মু-কাশ্মীরকে সেরা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,  বলিউড, তেলুগু, তামিল সিনেমার লোকজনকে আর্জি জানাব, ফের উপত্যকায় শুটিংয়ে আসতে।  একটা সময় ছিল, সিনেমার শুটিংয়ের জন্য জম্মু-কাশ্মীরই ছিল অন্যতম গন্তব্য। এবার নতুন ব্যবস্থাপনায় সেই অবস্থা আবার ফিরে আসবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর