× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধানের পর চামড়া, দুই ভরসাই খতম

ষোলো আনা

পিয়াস সরকার
১৬ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার
ছবিঃ নাসির উদ্দিন

সীমান্তবর্তী গ্রাম সরকারপাড়া। গ্রামটিতে এখনো পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ। কৃষকপ্রধান গ্রামটির অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। গ্রামটিতে কোনো রকম বাঁশ ঘেরা দুটি ঘরে থাকে ৩৮ শিশু। তারা সবাই এতিম। এতিমখানার নাম সরকারপাড়া এতিমখানা। এটি অবস্থিত নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটীতে।

প্রত্যন্ত এলাকার এই এতিমখানায় কোনো রকমে চলে তাদের দিন। তাদের আয়ের উৎস দুটি।
প্রধান আয়ের উৎস ঈদুল আজহার চামড়ার অর্থ ও ধান। কিন্তু এবারে বড় হুমকির মুখে তারা। এই এতিমখানায় চামড়ার টাকা দান করেন অনেক মানুষ। দান করেন চামড়াও। এর আগের বছর চামড়া থেকে তারা আয় করেছিলেন প্রায় ৩২ হাজার টাকা। কিন্তু এবারে চামড়া থেকে তারা আয় করেছেন মাত্র ৩ হাজার ৮শ’ টাকা। বিক্রি না হওয়ায় ফেলে দিতে হয়েছে ৪টি গরু ও ৩টি ছাগলের চামড়া। আর ধানের দাম না থাকায় সেখানেও আয় কম হয়েছে তাদের। এর আগেরবার ধানের মৌসুমে আয় হয়েছিল ৬২ হাজার টাকা। এবারের মৌসুমে তাদের আয় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা কম।

এতিমখানার পরিচালক জুয়েল ইসলাম বলেন, এই এতিমখানা এমনিতেই করুণ দশায় চলছে। আবার ধানের সময় টাকা কম আসলো। আর এবার চামড়ার টাকাই পেলাম না। এখন বাচ্চাগুলোকে চালাবো কী করে? অন্যের সাহযোগিতায় চলবে তার তো উপায় নেই। ধানের দাম না পাওয়ায় সবার ঘরেই অভাব। শঙ্কায় আছি না খেয়ে না থাকতে হয় তাদের। আর একজন হুজুর তাদের দেখাশোনা করেন। তার বেতন আগেই ঠিকমতো দিতে পারতাম না। আর এখন পরিস্থিতি তো আরো ভয়াবহ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর