সাটুরিয়ায় বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেলো কান্দাপাড়া মজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া আক্তার ও ধানকোড়া গ্রামের আ. রহমানের মেয়ে সোমাইয়া আক্তার। বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সাটুরিয়া এসিল্যান্ড ও ইউএনও থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনায় সোনিয়ার বাবা ছৈনুদ্দিনকে ৬ মাসের জেল ও সুমাইয়ার মাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাটুরিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, জান্না গ্রামের মো. সহিমুদ্দিনের ছেলে আ. আলীমের সঙ্গে কামতা গ্রামের মো. ছৈনুদ্দিনের মেয়ে সোনিয়া আক্তারের এক মাস আগে কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার কনে সোনিয়াকে তুলে নেয়ার জন্য কনের বাড়িতে ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করা হয়। সাটুরিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে কুলসুম সম্পা খবর পেয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কনের বাবা ছৈনুদ্দিনকে ৬ মাসের জেল দেন। এদিকে একই দিনে ধানকোড়া গ্রামের আ. রহমানের মেয়ে সোমাইয়া আক্তারের সঙ্গে ধামরাইয়ের বাথুলী গ্রামের সবুর আলী ছেলে ইস্ররাফিলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরপক্ষ কনের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করছিলেন।
এমন সময় ঘটনাস্থলে সাটুরিয়ার ইউএনও নাসরীন পারভীন উপস্থিত হলে বরপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে কনের মাকে গ্রেপ্তার করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। সাটুরিয়ার ইউএনও নাসরীন পারভীন বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ২০১৭/৮ ধারায় তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছে। আর কোর্ট ম্যারেজ করে কেউ বাল্যবিবাহ করলে তা আইনগতভাবে সঠিক নয়। এমন বিয়ে কেউ করলে তাদেরও শাস্তি দেয়া হবে। কোর্ট ম্যারেজ সম্পূর্ণ অবৈধ বলে তিনি জানান।