× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেরপুরে ঢাকাগামী বাসভাড়া দ্বিগুণ: দেখার কেউ নেই

বাংলারজমিন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
১৭ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

বগুড়ার শেরপুর থেকে ঢাকায় কর্মস্থলগামী হাজার হাজার অসহায় যাত্রীসহ উপজেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে চলাচলকারী বাস, কোচ, সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনে ঈদ উপলক্ষে নির্ধারিত যাত্রী ভাড়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণের বেশি হারে জোরপূর্বক ভাড়া আদায় করা হলেও দেখার কেউ নেই। যাত্রীদের ভাষায়, এ যেন মগের মুল্লুক। যা ইচ্ছা তাই চলছে পরিবহন সেক্টরে। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেরপুর শহরের ৩টি বাসট্যান্ড থেকে দেশের উত্তরের জেলা রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ, জয়পুরহাটসহ দক্ষিণের রাজধানী চাকা-চট্টগ্রাম মহানগর এবং সিলেটগামী বাস, কোচ, মিনিবাস এবং আঞ্চলিক সড়কে চলাচলকারী মিনিবাস, লেগুনা ও সবুজ সিএনজিতে আসা-যাওয়ার সময় যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী ভাড়া জোরপূর্বক আদায় করা হলেও দেখার কেউ নেই। রাস্তায় চলাচলকারী অসহায় যাত্রীদের ভাষায় এ যেন মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। সরকারিভাবে দেয়া আদেশ কেউ মানছেন না। জনপ্রতি মাত্র ১০ টাকার মিনিবাস ভাড়া গত ১৫ দিন ধরে উঠেছে ৩০ টাকায়। সম্প্রতিকালে তরল গ্যাসের মূল্য লিটারে ৪ টাকা বাড়লেও সরকারিভাবে ভাড়া বৃদ্ধির অনুমতির আগেই সকল প্রকার যানবাহন সড়কে সবুজ সিএনজির ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
শেরপুর শহরের খেজুরতলায় বেসরকারি কোচ কাউন্টারে ঢাকাগামী যাত্রীভাড়া জনপ্রতি ৩৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা। আবার ননএসি কোচের আগাম টিকিটের মূল্য ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী যাত্রীভাড়া ৮০০ টাকা থেকে ১৭০০ টাকা। শেরপুর থেকে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার আঞ্চলিক সড়কের মাঝে শুধুমাত্র করতোয়া গেটলক মিনিবাস সার্ভিসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এছাড়া অন্য সকল রুটের মিনিবাস ও সবুজ সিএনজিতে তুলনামূলক ভাড়া বেড়েছে ১০ টাকার স্থলে ৩০-৪০ টাকা। এরপরেও আছে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ। এসব রাস্তায় কোনো কোনো যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অস্বীকার করলেই তার ট্রাভেল ব্যাগ আটকে রেখে মারপিট করা হচ্ছে। রাস্তায় সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছেন নারী ও শিশু যাত্রীরা। বগুড়া জেলা অটোরিকশা (সবুজ সিএনজি) শেরপুর ধুনট মোড় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্ল্যাহ জানান, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে কোনো ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। শেরপুর-ধুনটের মাত্র ১৪ কিলোমিটার সড়কে সবুজ সিএনজিতে গাদাগাদি করে ৫ জন যাত্রীর ভাড়া ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা হারে ২০০ টাকা করা হয়েছে। কখনো কখনো তা আবার জনপ্রতি ৫০-৬০ টাকায় উঠে। এখানে যথাযথ আইনের প্রয়োগ না থাকায় যেকোনো ধরনের পরিবহনে রাজনৈতিক ও দলীয় পরিচয় দিয়ে তথাকথিত সমিতির নামে ডাক বসিয়ে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়ার নামে চাঁদা। তাদের নেই কোনো বাসট্যান্ড বা টার্মিনাল। শুধুমাত্র কল্যাণ সমিতির রসিদ দিয়ে শেরপুরে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হলেও দেখার কেউ নেই। শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় যত্রতত্র বৃদ্ধি পেয়েছে হাজারো অনিয়ম।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর