পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে ঈদের ছুটি শেষে রুজির টানে ঢাকা ফেরত যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। তিল ধারণের ঠাঁই নেই টার্মিনালসহ নৌবন্দর ভবনে। গতকাল ঈদের চতুর্থদিন সকাল থেকে নাড়ির টানে দেশে আসা হাজার হাজার মানুষ বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন নিয়ে একত্রে ঈদের খুশি আর আনন্দ উপভোগ করে ছুটি শেষে রুজির টানে ঢাকায় ফিরে যেতে জেলার বিভিন্ন স্থান হতে সকাল থেকে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে আসেন। দুপুর ১২টার মধ্যে টার্মিনালে নোঙ্গর করা ঢাকাগামী চারটি দ্বিতল লঞ্চ কানায় কানায় ভরে যায়। নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তায় নির্ধারিত সময়ের ৪-৫ ঘণ্টা আগেই সুন্দরবন-৯, জামাল-৫ ও এমভি আওলাদ ও সাত্তার খান লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনাল ছেড়ে যেতে বাধ্য করে। এ চারটি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার পরেও টার্মিনাল ও নৌবন্দর ভবনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। কুয়াকাটা লঞ্চ আসছে শুনে হাজার হাজার যাত্রীকে টার্মিনালে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান, টার্মিনালে যে সংখ্যক যাত্রী অপেক্ষা করছেন, তাদের ঢাকা যেতে কমপক্ষে আরও দু’টি লঞ্চের প্রয়োজন হবে।
একটি কুয়াকাটা লঞ্চ আসছে, এ লঞ্চে লোকের সামাল দেয়া কঠিন হবে। নৌবন্দরের কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান জানান, মালিক পক্ষকে পটুয়াখালী-ঢাকা নৌরুটে অতিরিক্ত লঞ্চ দেয়ার কথা বলেছি। একটি লঞ্চ কাছাকাছি আসছে। জানি না যাত্রীদের অবস্থা কী হয়। শনিবার আরো বেশি ভিড় হবে- বললেন নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ।