× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তারাগঞ্জে কাবিখা প্রকল্পের নামেমাত্র কাজ, টাকা হরিলুট

বাংলারজমিন

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
১৭ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

তারাগঞ্জ উপজেলায় কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) কর্মসূচি বাস্তবায়নে নামেমাত্র কাজ করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। টনপ্রতি দুই থেকে তিন হাজার টাকা কেটে নেয় বলে জানা গেছে। আর এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী প্রকল্পের স্বচ্ছতার জন্য জনসম্মুখে নির্দিষ্ট স্থানে সাইনবোর্ড টাঙানোর নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, তারাগঞ্জে দুই ধাপে ১২৭ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেয়া হয়। খাদ্যশস্যের বিপরীতে মোট ২৬টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের সয়ার ইউপি থেকে বটেরতল মোড় ও জিকিরিয়া হাজীরবাড়ি হয়ে হামিদের বাড়ি পর্যন্ত ৭৫০ ঘনমিটার মাটি উত্তোলনের কথা থাকলেও নামেমাত্র কাজ করে বরাদ্দের পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অনেকে জানান। এ বিষয়ে প্রকল্প সভাপতি খোরশেদ আলীর মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এছাড়াও আলমপুর কাজীপাড়া জামে মসজিদ হতে ভীমপুর দর্জিপাড়া পর্যন্ত রাস্তা ভরাট প্রকল্পটি অন্যতম। সেখানে গিয়ে জানা যায় যে, উক্ত প্রকল্পে ৪০ দিনের লোক দিয়ে প্রকল্পটির কাজ করা হয়েছে। ঐ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা শোভারানী, গৌতম, শ্যামল, হাফিজার রহমানসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রকল্পটি ৪০ দিনের লোক দিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে। এব্যাপারে প্রকল্পের সভাপতি বাইজিদ বোস্তামির মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ঐ সময় লোকজন না পাওয়ায় কিছু ৪০ দিনের লোকজনকে দিয়ে কাজ করা হয়েছে। সাইনবোর্ডের কথা তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, শ্যামলের বাড়িতে সাইবোর্ড আছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় সাইনবোর্ড গোয়াল ঘরের মধ্যে রাখা। বিভিন্ন প্রকল্পের তালিকা তথ্য ও অধিকার আইনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা আ. মমিনের কাছে চাওয়া হলেও নির্দিষ্ট সময়ে পেরিয়ে গেলেও তিনি অদ্যাবধি এ প্রতিবেদককে তালিকা দেননি। পরে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এটিএম আক্তারুজ্জামান জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (ডিআরও) কর্মকর্তার কাছে গত ২৯শে জুলাই আপিল করা হয়। মুঠোফোনে জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এটিএম আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন যতদ্রুত সম্ভব আপনাকে তালিকা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। একাধিক প্রকল্প সভাপতি জানান কাবিখা প্রকল্পে প্রতি টন মালের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুই থেকে তিন হাজার টাকা কেটে নেয়। এসব বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা আ. মমিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা কাজ দেখে বরাদ্দ দিয়েছি। টনপ্রতি কোনো টাকা নেয়া হয়নি।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর