× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গঙ্গাচড়ায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মারধর

বাংলারজমিন

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
১৭ আগস্ট ২০১৯, শনিবার

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক সাংবাদিক পুত্রকে মারধরসহ হত্যার হুমকি দিয়েছে এক বখাটে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তাদের মারধরে সাংবাদিক পুত্রসহ আরো ৩ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার মূল হোতাকে আটক করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের ধামুর (মহিলা কলেজ সংলগ্ন) এলাকার মোস্তাফিজার রহমান (জুয়া মোস্তা) এর বখাটে পুত্র সানি মিয়া একই এলাকার মোকলের বখাটে পুত্র মিরাজ তাদের কয়েকজন বন্ধু মিলে দক্ষিণ কোলকোন্দ ভাই ভাই মোড় এলাকায় প্রতিদিনই স্কুল-কলেজপড়ুয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতো। এর প্রতিবাদ জানায় সাংবাদিক আবদুল বারী স্বপনের পুত্র সিয়াম ও তার বন্ধুরা। এতে ক্ষীপ্ত হয় ওই বখাটেরা। গত বুধবার সন্ধ্যায় সিয়াম প্রয়োজনীয় কাজে গঙ্গাচড়া বাজার এলে বখাটেরা ফোন করে সিয়ামকে হত্যার হুমকি দিয়ে শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় তাকে মারধর করে।
আশেপাশের লোকজন সিয়ামকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করে। পরিস্থিতি শান্ত হলে সিয়াম ও তার বন্ধুরা বাড়ি যাওয়ার পথে মিলন সিনেমা হলের সামনে পৌঁছলে বখাটে সানি তার বাবা জুয়া মোস্তা, নেশাখোর ভাই মিলনের নেতৃত্বে মিরাজ, লিজু, সাজুসহ ১৩/১৪ জন লাঠিসোটা, বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর পুনরায় হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুষ্কৃতকারী পিতা-পুত্রসহ সকলে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অটোরিকশায় আনা লাঠিসোটাসহ অটোটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

তাদের মারপিটে সিয়ামের বন্ধু আল আমিনের মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় গঙ্গাচড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত সিয়াম তার বন্ধু সজল, তুষার বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক আবদুল বারী স্বপন বাদী হয়ে ওইদিন রাতে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূলহোতা বখাটের বাবা জুয়া মোস্তাকে আটক করেছে। সাংবাদিক স্বপন বলেন, আমার ছেলে তাদেরকে শান্তভাবে বুঝিয়ে ছিলো, ইভটিজিং করা যায় না। এটাই তার অপরাধ। এ কারণে নিজের ছেলেকে শাসন না করে উল্টো ছেলের পক্ষ নিয়ে আমার ছেলে ও তার বন্ধুদের মারধর করে। তিনি আরো বলেন, মোস্তা একজন জুয়াড়ি ও নেশাখোর। জোর করে অটো-ভ্যান থেকে চাঁদা তুলে সে  চলে। এজন্য মানুষ তাকে জুয়া মোস্তা নামে চেনে। এছাড়া মিলন নেশাখোর ও নেশা ব্যবসায়ী। স্বর্ণের দোকানের আড়ালে তার এ সব কর্মকাণ্ড। মোস্তা ও মিলন প্রায় সময় সামান্য অজুহাতে মানুষকে ধরে মারপিট করে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড সবাই জানে। এদের দিয়ে সমাজে ভালো আসা করা যায় না। আইনের মাধ্যমে এদের ব্যবস্থা নিয়ে সমাজে শান্তি ফিরাতে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা কামনা করেন। ওসি মশিউর রহমান জানান, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর